বিজ্ঞাপন

৩০ বছর আগে খুন: মামলার আইও’র বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

January 10, 2023 | 8:57 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো : ৩০ বছর আগে চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর একটি হত্যা মামলায় বারবার সমন পাঠানোর পরও সাক্ষ্য দিতে না আসায় দুই সাক্ষীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন, যাদের একজন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও)।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুল হালিম দুই সাক্ষীর পাশাপাশি পলাতক ২৩ আসামির বিরুদ্ধেও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

দুই সাক্ষী হলেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফটিকছড়ি থানার সাবেক উপ-পরিদর্শক (এসআই) জালাল উদ্দিন এবং শাহজাহান নামে আরেকজন।

২৩ আসামি হলেন- নাছির উদ্দিন, কমরু, সেলিম, ইকবাল, সোলাইমান, হুমায়ূন, ইয়াকুব, তৈয়ব, হোসেন, সাইফুদ্দিন, নুরুল ইসলাম, সুজা, জামশেদ, নাছিরুল, মাহবুব, জসিম, শফি, শাহ আলম, জাহাঙ্গীর, নুর ছাফা, ইলিয়াস, অলি উল্লাহ এবং নাজিম উদ্দিন।

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম জেলা পিপি শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী সারাবাংলাকে বলেন, ‘রাষ্ট্রপক্ষের তৎপরতার প্রেক্ষিতে আদালত দু’জন সাক্ষী এবং ২৩ জন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। তবে ২৩ জনের মধ্যে চারজন আসামি মৃত্যুবরণ করেছেন মর্মে প্রাথমিকভাবে তাদের আইনজীবীরা জানালেও সে বিষয়ে আদালত প্রতিবেদন তলব করেছেন। ১ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত।’

চাঞ্চল্যকর এই মামলায় অভিযোগপত্রভুক্ত ২৬ আসামির মধ্যে বর্তমানে শুধু নাছির উদ্দিন ওরফে শিবির নাছির এবং শফিউল আলম নামে দু’জন আসামি কারাগারে আছেন।

কারাবন্দি নাছির উদ্দিন ছাত্রশিবিরের একসময়ের দুর্ধর্ষ ক্যাডার এবং পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী ছিলেন। ১৯৯৮ সালের ৬ এপ্রিল চট্টগ্রাম কলেজের শেরে বাংলা ছাত্রাবাস এলাকা থেকে নাছিরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর দুই যুগ ধরে ধরে নাছির কারাগারে আছেন। তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম নগরী ও জেলার বিভিন্ন থানায় খুন, গুমসহ প্রায় ৩৬টি মামলা ছিল। এর মধ্যে পুলিশের ওপর হামলার একটি মামলায় তার পাঁচ বছরের সাজা হয়। সাক্ষীর অভাবে কয়েকটি মামলা থেকে খালাসের তথ্যও বিভিন্নসময় গণমাধ্যমে এসেছে।

বিজ্ঞাপন

১৯৯২ সালের ৮ মে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে পন্ড করে দেয় জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসীরা। এতে সম্মেলনস্থলে জমির উদ্দিন নামে একজন নিহত হয়। সম্মেলনের প্রধান অতিথি চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের গাড়িতে হামলা চালিয়ে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা হারুন বশরকে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। মোশাররফের বুকে রাইফেল ঠেকানোর পরও তিনি কোনোমতে আত্মরক্ষা করেন।

এ ঘটনায় মোশাররফের গাড়িচালক ইদ্রিস বাদি হয়ে ফটিকছড়ি থানায় মামলা দায়ের করেন। ১৯৯৮ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর দণ্ডবিধির ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯, ৩৪২, ৩০২, ৩২৪, ৩২৩ ও ৪২৭ ধারায় মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। এতে ৩১ জনকে আসামি করা হয়েছিল। নাছির এক নম্বর আসামি।

২০০২ সালের ২৫ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর গত ২০ বছরে মোশাররফ হোসেনসহ মাত্র সাতজনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী মামলাটির বিচারে আবার গতি আনার চেষ্টা করছেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরডি/একে

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন