বিজ্ঞাপন

প্রবাস থেকে ৭১৪ নারীর লাশ হয়ে ফেরা: ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট

February 6, 2023 | 5:18 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: প্রবাস থেকে লাশ হয়ে দেশে ফেরা ৭১৪ অভিবাসী নারী শ্রমিকের পরিবারকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

রিটে অভিবাসী নারী শ্রমিকের মৃত্যুর বিষয়ে তদন্ত এবং কর্মরতদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিতের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব, বিএমইটির মহাপরিচালক ও পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট ১২ জনকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার একটি প্রতিবেদনে সংযুক্ত করে এই রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আঞ্জুমান আরা লিমা।

বিজ্ঞাপন

শীঘ্রই বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রিটের ওপর শুনানি হতে পারে।

দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় ‌‘লাশ হয়ে ফিরলেন ৭১৪ নারী’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি যুক্ত করে এ রিট দায়ের করা হয়।

দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তিন বছরে ৪০৪ জন নারী শ্রমিকের লাশ দেশে এসেছে। তাদের মধ্যে ২২৭ জনের ক্ষেত্রে ‘স্বাভাবিক মৃত্যু’লেখা ছিল।

বিজ্ঞাপন

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের তথ্য বলছে, ২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত সাত বছরে ৭১৪ নারী শ্রমিকের লাশ দেশে এসেছে। তাদের মধ্যে ‘স্বাভাবিক’ মৃত্যুর সনদ লেখা লাশের সংখ্যা ২৬২। আর ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৩ বছরে ৩১৯ নারী শ্রমিকের লাশ দেশে আসে। যাদের মধ্যে ২২০ জনের ক্ষেত্রে লেখা ছিল ‘স্বাভাবিক মৃত্যু’।

অন্যদিকে ব্র্যাকের গত সাত বছরের পরিসংখ্যান বলছে, এই সময়ে যেসব নারী শ্রমিকের লাশ দেশে এসেছে, তাদের মধ্যে ১৩৮ জনের মৃত্যুর কারণ লেখা ছিল ‘স্ট্রোক’। ১১৬ জনের ক্ষেত্রে ‘আত্মহত্যা’। ১০৮ জনের ক্ষেত্রে ‘দুর্ঘটনা’। ১৬ জনের ক্ষেত্রে ‘হত্যা’। এর বাইরে করোনা, ক্যানসার, অজানা রোগ বা কোনো কারণ উল্লেখ না করেই দেশে নারী শ্রমিকের লাশ পাঠানোর ঘটনা ঘটেছিল।

বিদেশে মারা যাওয়া শ্রমিকের লাশ দেশে আনার কাজটি প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মাধ্যমে হয়ে থাকে।

লাশ দাফনের জন্য তারা বিমানবন্দরে পরিবারকে ৩৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়। পরে মারা যাওয়া শ্রমিকের পরিবারকে তিন লাখ টাকা আর্থিক অনুদান দেয় বলে প্রথম আলোর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/কেআইএফ/ইআ

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন