বিজ্ঞাপন

‘তীব্র দাবদাহের পেছনে বায়ুদূষণও দায়ী’

May 22, 2023 | 11:18 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: সারাদেশে প্রবাহমান তীব্র দাবদাহের পেছনে জলবায়ু পরিবর্তনের পাশাপাশি বায়ুদূষণও দায়ী বলে জানিয়েছেন বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র’র (ক্যাপস) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার।

বিজ্ঞাপন

বায়ুদূষণ কমাতে জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এ তথ্য জানান। সোমবার (২২ মে) সকালে রাজধানীর শাহবাগে ক্যাপস’র উদ্যোগে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

এই আয়োজনে সহ-আয়োজক ছিল বিএনসিএ, বারসিক, সেভ ফিউচার বাংলাদেশ, জিএলটিএস, গ্রীন ভয়েজ, পরিবেশ উদ্যোগ, সিপিআরডি, সিজিইডি নির্বাহী পরিচালক এবং ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস।

মানববন্ধনে ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, ‘ধূলিকণা এবং দূষিত গ্যাসের তাপ শোষণ করার ক্ষমতা আছে। সে কারণে বর্তমানে দূষিত বায়ুর ধূলিকণা ও গ্যাসীয় পদার্থগুলো সূর্যের তাপমাত্রাকে শোষণ করে তাপপ্রবাহ সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখছে। পাশাপাশি সালফার ডাই অক্সাইড, নাইট্রোজেন অক্সাইড, কার্বন মনো অক্সাইড, কার্বন ডাই অক্সাইড তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখে। তাই, তাপমাত্রার বৃদ্ধি কমাতে বায়ুদূষণ কমানো জরুরি।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক বাংলাদেশের পরিবেশ দূষণ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, বিভিন্ন শহর ধীরে ধীরে বসবাসের যোগ্যতা হারাচ্ছে। অথচ দেশে বায়ুদূষণ কমানোর ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সমন্বিত কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। বরং প্রতিনিয়ত বায়ুদূষণের নতুন নতুন ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে। অতি দ্রুত বায়ুদূষণ কমাতে পদক্ষেপ না নিলে জনজীবন আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠবে।’ বায়ু দূষণ ও তাপমাত্রা কমানোর জন্য বনায়ন ও জলাভূমি সংরক্ষণের উপর গুরুত্বারোপ করেন ড. কামরুজ্জামান মজুমদার।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) যুগ্ম সম্পাদক স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, ‘বায়ু দূষণের জন্য আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়ে বেড়ে উঠবে। এই জায়গা থেকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে আমরা দায়বদ্ধ। নিশ্চয়ই আমরা ঘুরে দাঁড়াব। এদেশে বীজ বপন করলেই গাছ হয়, শুধু লালন-পালন করলেই আমরা এই ক্ষতিকর বায়ুদূষণ থেকে মুক্তিলাভ করতে পারি। আজ আমরা সবাই অঙ্গীকারবদ্ধ হই এই শহরকে আবার সাজাব এবং এর জন্য একসঙ্গে কাজ করব।’

মানববন্ধনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আদিল মোহাম্মদ খান, বাপা’র যুগ্ম সম্পাদক আলমগীর কবির, বারসিক-এর সমন্বয়কারী জাহাঙ্গীর আলম, ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস’র নির্বাহী সমন্বয়কারী সোহানুর রহমান, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ’র অধ্যাপক ড. গুলশান আরা লতিফা, সহকারী অধ্যাপক ড. মাহমুদা পারভীন, পরিবেশ উদ্যোগের সমন্বয়ক মাহমুদা ইসলাম, সিজিইডি’র নির্বাহী পরিচালক আব্দুল ওহাব প্রমুখ বক্তব্য দেন।

বিজ্ঞাপন

মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশসহ অনান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী, ক্যাপস’র গবেষকরাসহ অন্যান্য পরিবেশবাদী সংস্থার সদস্যরা। পরিবেশ ও বায়ুদূষণ কমাতে মানববন্ধনে চারটি দাবি ও ১৫টি সুপারিশ তুলে ধরা হয়।

সারাবাংলা/আরএফ/পিটিএম

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন