বিজ্ঞাপন

বর্জ্য সরাতে ২০ হাজার কর্মী, রাতের মধ্যেই পরিচ্ছন্ন হবে রাজধানী

June 29, 2023 | 6:27 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: রাজধানী ঢাকায় কোরবানির পশুর বর্জ্য সরাতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ২৪ ঘণ্টা ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ৮ ঘণ্টা সময়সীমা নির্ধারণ করেছে। এ জন্য উভয় সিটিতে কাজ করছে ২০ হাজার পরিচ্ছন্নতাকর্মী। আশা করা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যেই রাজধানী থেকে বর্জ্য অপসারণ করা সম্ভব হবে।

বিজ্ঞাপন

সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল থেকে ভারী বৃষ্টির কারণে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা দ্রুত সময়ের মধ্যে দৃশ্যমান করার বিষয়ে শঙ্কার সৃষ্টি হয়। কিন্তু দুপুরের পরে বৃষ্টি থেমে যাওয়ার কারণে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা এখন রাস্তার পাশে, বাসাবাড়ির অলিগলির বর্জ্য অপসারণে নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ শুরু করেছে।

দুপুর তিনটার দিকে সেগুনাবাগিচার একটি রাস্তার পাশে স্তুপ করে বর্জ্যগুলো পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা বর্জ্যবাহী পরিবহনে তুলছিলেন। এ সময় তারা সারাবাংলাকে জানান, বাসা বাড়ির অলিগলি থেকে রাস্তার পাশে স্তুপ করে রাখা বর্জ্য সন্ধ্যার মধ্যে দৃশ্যমান অপসারণ করার লক্ষ্যে কাজ করছেন। আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমরা আশা সন্ধ্যার আগেই আমরা বর্জ্য দৃশ্যমানভাবে অপসারণ করতে পারব।

ভবনের বাসিন্দারা কোরবানি শেষে কোথাও কোথাও রাস্তার মোড় বা রাস্তার একদিকে বর্জ্য  স্তুপ করে রেখেছেন। সেগুলো পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা সরানোর জন্য কাজ করছেন। পরে সেগুলো বর্জ্যবাহী পরিবহনে সরিয়ে ফেলা হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

প্রতিবারের মতো এবারও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম গতিশীল করতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ, স্বাস্থ্য বিভাগের সব পর্যায়ের কমকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এবার বাসাবাড়ির অলিগলি থেকে সড়কের পাশে রাখা দৃশ্যমান বর্জ্য অপসারণের জন্য সিটি করপোরেশন থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। এরপর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে কীটনাশক ও স্যাভলন ব্যবহার করা হবে। এছাড়া কোরবানির পর এখন রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে এখন পশুর চামড়া স্তুপ করে রাখা হয়েছে। পাড়া মহল্লা থেকে চামড়া সংগ্রহকারীরা সেগুলো নিয়ে বিক্রি করবেন।

বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) সকালে ডিএসসিসি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘বর্জ্য অপসারণের জন্য আমরা সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। ইনশাআল্লাহ, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সব বর্জ্য অপসারণ করতে পারব। গতবারও যেভাবে আমরা সফল হয়েছি, এবার তার আগেই আমরা ঢাকাবাসীকে সুফল দিতে পারব।’

ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা কত তাড়াতাড়ি বর্জ্যগুলো সরাতে পারব, তা নির্ভর করবে এলাকাবাসীর ওপর। এলাকাবাসী যত্রতত্র যেন ময়লাগুলো না ফেলে রাখে। আমরা প্রত্যেককেই বায়োডিগ্রেবল পলিথিন দিয়েছি। আমি অনুরোধ করব, প্রত্যেকেই যেন নিজ নিজ ময়লা নির্ধারিত স্থানে নিয়ে ফেলে। আমাদের প্রায় ১১ হাজার কর্মী কাজ করেছেন।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এনআর/একে

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন