বিজ্ঞাপন

মোবাইল মানুষের বেঁচে থাকার অবলম্বন হয়ে দাঁড়িয়েছে— গবেষণা

August 20, 2023 | 5:21 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: মোবাইল ফোন মানুষের জীবন বদলে দিয়েছে। এর শুধু নেতিবাচক ব্যবহার নয়, বরং এটি কোনো কোনো মানুষের বেঁচে থাকার অবলম্বন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর মাধ্যমে স্বল্প শিক্ষিত মানুষ বর্ণমালা শেখে, নতুন ভাষা শেখে, ভয়েস টু টেক্সট করে। এ ছাড়া ছবি কিংবা অডিও বা ভিডিও ক্লাউডে সেভ করে এবং ভিডিও বানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে। তাদের কাছে মোবাইল কেবলমাত্র জীবনের একটি অনুষঙ্গই নয়, এটি তাদের কাছে এমন একটা প্রযুক্তি যা মানুষের জীবনের মৌলিক সত্তার জাগরণ ঘটায়। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআডিএস) এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (২০ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিআইডিএস সম্মেলন কক্ষে ‘মোবাইল ফোন: স্কিল, কমিউনিকেশন অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েশন’ শীর্ষক এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সংস্থাটির মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন। গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন বিআইডিএস’র রিসার্স ফেলো মোহাম্মদ গোলাম নবী মজুমদার। আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. খোরশেদ আলম, ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. আব্দুস সাত্তার মন্ডল, বেসিসের সাবেক সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর।

গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, মোবাইল ফোনের গুরুত্বটা তখনই স্পষ্ট হয় যখন তাদের (গবেষণায় অংশ নেওয়াদের) ফোনটা প্রয়োজন কিন্তু কাছে থাকে না, কিংবা তখন সেটা ব্যবহার উপযোগী নয়। মোবাইল ফোন কেবলমাত্র একটা যন্ত্র নয়। মোবাইল নামক এই ডিজিটাল মেশিন ব্যবহারের মধ্য দিয়ে মানুষ নিজেকেই বার বার নতুন করে আবিষ্কার করে। ফোনবিহীন জীবন তখন মনে হয় বন্ধ্যা, অস্থির খাঁচায় বন্দি। অন্যদিকে, এই ছোট ডিজিটাল মেশিনের বরাতে মানুষ গড়ে তোলে বিভিন্ন সামাজিক সম্পর্ক। এই মোবাইলের মাধ্যমে তরুণরা ধীরে ধীরে নিজেদের নতুন করে ভাবতে ও চিনতে শুরু করে। মোবাইলের মাধ্যমে অবহেলিত মানুষেরা প্রায়ই প্রথম বারের মতো জীবনের আনন্দ পেতে শুরু করে। এই অর্থে প্রযুক্তি মানুষের সক্ষমতাই শুধু বাড়ায় না, মানুষের মানবিক সত্তা ও সামাজিকতারও নিয়ামক হয়ে ওঠে।

বিজ্ঞাপন

সেমিনারে জানানো হয়, দেশের পিছিয়ে পড়া তরুণদের মধ্যে (যাদের বয়স ১৫ থেকে ৩৫ বছর ও যাদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই বা নামমাত্র) মোবাইল ফোনের নিত্যদিনের ব্যবহার নিয়ে এক গবেষণার পরিচালনা করা হয়। সেজন্য সারাদেশের আট বিভাগের ২৪০ জনের কাছ থেকে গুণগত তথ্য সংগ্রহ করা হয়, এর মধ্যে ১৩০ জন নারী। প্রথমে ইন্টারভিউ রেকর্ড করা হয়েছে, তারপর তা ট্রান্সক্রিপ্ট করে ইংরেজিতে অনুবাদ করা হয়েছে। একজন মোবাইল ব্যবহারকারীর গল্প বিস্তারিত জানার জন্য একাধিকবার ফলো-আপ ইন্টারভিউ করার পাশাপাশি সংগ্রহ করা হয়েছে বিভিন্ন প্রমাণ।

ড. বিনায়ক সেন বলেন, ‘মোবাইল ফোনের অপব্যবহার নিয়ে অনেক গবেষণা আছে। কিন্তু এর যে বিশাল ইতিবাচক প্রভাব মানব জীবনে আছে সেটি নিয়ে খুব বেশি গবেষণা হয়নি। এই গবেষণায় দেখা গেছে, কীভাবে একজন সাধারণ মানুষও মোবাইল ফোনের ইতিবাচক ব্যবহার করে। অনেককে আইসিটি নিরাপত্তার বিষয়টিও সচেতন থাকতে দেখা যায়।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেজে/পিটিএম

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন