বিজ্ঞাপন

ডেঙ্গুর চেয়েও বিএনপি মারাত্মক : তথ্যমন্ত্রী

September 8, 2023 | 7:56 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো : আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি এখন ডেঙ্গু নিয়ে অপপ্রচার শুরু করেছে। মনে হচ্ছে, ডেঙ্গু মশার জন্য আওয়ামী লীগ দায়ী। ডেঙ্গু মশা আওয়ামী লীগ-বিএনপি চেনে না। সরকার সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অবশ্যই ডেঙ্গু সফলভাবে মোকাবিলা করতে পারবে, যেভাবে করোনা মোকাবিলা করেছে।’

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টশন প্রোগ্রাম ও বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী এ সব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্মুখেরা বলেন, ডেঙ্গু যেমন মারাত্মক, বিএনপি তার চেয়েও মারাত্মক। ডেঙ্গু মশা কামড়ায় আর বিএনপি মানুষ পোড়ায়। অনেকক্ষেত্রে ডেঙ্গুর চেয়েও বিএনপি মারাত্মক।’

বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ জি-টোয়েন্টি সম্মেলনে গেছেন, এর বর্তমান প্রেসিডেন্ট হচ্ছে ভারত। এই উপমহাদেশ থেকে আর কাউকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি, শুধুমাত্র বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। গতকাল রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশে এসেছেন, ১০ সেপ্টেম্বর ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী আসবেন। কয়েকদিন আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের নিরাপত্তা সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের বহুমুখী সহযোগিতা ও বহুমাত্রিক সম্পর্কের প্রমাণ হচ্ছে তাদের সাথে আমাদের নিরাপত্তা সংলাপ।’

বিজ্ঞাপন

স্বাস্থ্যসেবায় বর্তমান সরকারের কর্মকাণ্ডের বিভিন্ন তথ্য উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিভিন্ন হাসপাতাল এবং ক্লিনিকের অতিরিক্ত মুনাফা লাভের প্রবৃত্তি আমাদের চিকিৎসাসেবা ও ডাক্তারদের ওপর আস্থাহীনতা তৈরি করছে। সাধারণ মানুষকে প্রচণ্ড ভোগাচ্ছে। অনেক সময় শোনা যায়, রোগীকে আইসিউতে দেওয়ার প্রয়োজন নেই, রোগী এমনিতেই মৃত্যুবরণ করবে, সেটিকে লাইফ সাপোর্টে দিচ্ছে। এরকম অহরহ ঘটনা শুনতে পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ও ভূমিকা রাখতে পারে।’

‘বিদেশমুখী অনেক রোগীকে আমি জিজ্ঞেস করি, ভারতের ব্যাঙ্গালোর, দিল্লি, কোলকাতাসহ বিভিন্ন রাজ্যে অনেক ঝক্কি-ঝামেলা পেরিয়ে কেন যান ? তখন তারা বলেন, বাংলাদেশেতো ডাক্তার ভালো করে কথা বলেন না। যিনি চালু ডাক্তার, তার অ্যাসিস্টেন্টরা রোগী দেখেন, আর তিনি দু’মিনিট কথা বলেন। আর বিদেশের ডাক্তাররা প্রয়োজনে আধঘণ্টা কথা বলেন।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিবছর মানুষ বিদেশে চিকিৎসা নিতে গিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা চলে যাচ্ছে। আমাদের মেধাবী ডাক্তাররা যদি আরেকটু মনযোগ দিয়ে রোগী দেখতেন, তাহলে রোগীরা আর বিদেশমুখী হতেন না।’

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের ম্যানেজিং ট্রাস্টি মোহাম্মদ রেজাউল করিম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. ইসমাইল খান, ট্রাস্টি বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. মোরশেদ হোসেন, অধ্যক্ষ অসীম বড়ুয়া।

সারাবাংলা/আরডি/একে

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন