বিজ্ঞাপন

‘রাষ্ট্রকে যন্ত্রণা-নির্যাতনের কারখানায় পরিণত করেছে সরকার’

September 19, 2023 | 6:18 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: সরকার রাষ্ট্রকে যন্ত্রণা-নির্যাতনের কারখানায় পরিণত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজের সুবর্ণজয়ন্তীর এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা এক ঘোর অন্ধকারে মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। রাষ্ট্র এখন আর রাষ্ট্র নেই। রাষ্ট্র এখন পুরোপুরিভাবে একটা যন্ত্রণা, অত্যাচার-নির্যাতন-নিপীড়নের কারখানা হয়ে গেছে। একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র তখনই সফল হতে পারে, যখন তার তিনটা স্তম্ভই কাজ করে। আমি সোজা কথায় বলি- বাংলাদেশের আত্মাটাকে তারা ধবংস করে দিয়েছে। আমরা যে আত্মাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেছি, কাজ করেছি, লড়াই করেছি, সংগ্রাম করেছি সেই আত্মা বিনষ্ট করে দিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আজকে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নাই। যারা বিচারক, তারা এই সমাজের স্বাধীনতা ধ্বংস করে দিয়েছেন। আমাদের সাংবাদিক ভাইয়েরা আছেন, তারা জানেন, তাদের সহকর্মী, বড় বড় পত্রিকার এডিটর, বড় বড় চ্যানেলের্ এডিটর তারা আজকে উর্দির ভুমিকা পালন করছেন। তারাও কম যান না। আমি লজ্জা পাই, যখন দেখি কয়েকজন প্রতিথযশা সম্পাদক এই ভয়াবহ অত্যাচার-নির্যাতন, গণতন্ত্র হত্যার যে কর্মযজ্ঞ তাকে সমর্থন করছেন।’

বিজ্ঞাপন

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের কথা বাদ দেন। আমরা রাস্তার কর্মী, মাঠের কর্মী, মাঠের মধ্যে লড়াই করি, জেলে যাই, অনেকের ফাঁসিও হয়েছে। গত কয়েকদিন আগে আমাদের ঈশ্বরদীর প্রায় ৫০জন নেতা-কর্মী ৩০ বছর আগে শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে কি ঢিল মেরেছিল? ত্রিশ বছর পরে বিচারকরা শাস্তি দিয়েছেন। নয় জনকে মৃত্যুদণ্ড, ১৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। আমাদের হাবিবুল ইসলাম হাবিবকে ৭০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছে—এটা ইতিহাস।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের নেতা ইলিয়াস আলীকে গুম করে দিয়েছে। এ রকম ৬৪৮ জনকে গুম করেছে। সহস্রাধিক মানুষকে হত্যা করেছে, এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিং করেছে, আমাদের সম্পাদক শফিক রেহমান, মাহমুদুর রহমানকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে হয়েছে। দেশে আছেন এমন অনেক সম্পাদক সাংবাদিকদের নিগৃহীত হতে হয়েছে, কারাগারে যেতে হয়েছে। এই একটু আগে একজন আমার সাথে দেখা করলেন যে, মাস খানেক আগে তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে গিয়েছিল, একমাস আগে জেলে থেকে বেরিয়েছেন। কত বলব, কার কথা বলব? অত্যাচার-নির্যাতন এমন একটা পর্যায় চলে গেছে এখান থেকে মুক্তি পেতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নামতে হবে।’

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় সাংবাদিক নেতাদের মধ্যে রুহুল আমিন গাজী, এম আবদুল্লাহ, নুরুল আমিন রোকন, এম এ আজিজ, আবদুল হাই শিকাদার, এলাহী নেওয়াজ খান সাজু, কামাল উদ্দিন সবুজ, সৈয়দ আবদাল আহমেদ, কাদের গনি চৌধুরী, বাকের হোসাইন, ইলিয়াস খান, মোরসালিন নোমানী, রাশেদুল হক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বিজ্ঞাপন

কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, জামায়াতে ইসলামীর মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল, পেশাজীবী নেতা ফরহাদ হালিম ডোনার, এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, লুতফুর রহমান, রিয়াজুল ইসলাম রিজু, মোর্শেদ হাসান খান প্রমুখ বক্তব্য দেন।

সারাবাংলা/এজেড/এনইউ

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন