বিজ্ঞাপন

‘খালেদা জিয়ার কিছু হলে আ.লীগের কারও অস্তিত্ব রাখব না’

September 25, 2023 | 5:33 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ‘কিছু একটা’ হয়ে গেলে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের কারও অস্তিত্ব রাখবে না বিএনপি— এমন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। ৯০‘র ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যে ও ছাত্র দলের সাবেক নেতারা এ মিলাদ মাহফিল আয়োজন করে।

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমি আবারও অনুরোধ জানাব, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ১২ ঘণ্টা সময় চলে গেছে আর ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে যেন দেশনেত্রীকে বিদেশে পাঠানো হয় চিকিৎসার জন্য। একটা কথা আমি আবারও বলছি, এই অবস্থায় দেশনেত্রীর যদি কিছু হয়ে যায় তাহলে আপনাদের কারও কোনো অস্তিত্ব বাংলাদেশে আমরা রাখব না। আমি দুঃখিত, আমি একটু বোধ হয় আবেগপ্রবণ হয়ে গেছি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা আসলে বোকার স্বর্গে বসবাস করছি, তা বুঝতে পারিনি। যেদিন নেত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে সেদিন থেকেই তাকে হত্যার চক্রান্ত করা হয়েছে। এই গ্রেফতার ছিল তাকে হত্যা করার জন্য, আমরা বুঝতে পারিনি। আমরা বুঝেছি গ্রেফতার করা হয়েছে। অসুস্থ হওয়ার পরে আমরা বলা শুরু করেছি, তিনি অসুস্থ হয়েছেন।’

বিজ্ঞাপন

‘আসলে উনাকে গ্রেফতার করে অসুস্থ করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হবে- এটাই ছিল তাদের প্ল্যান। সেই প্ল্যান এখন কার্য্কর করছে। আর না হলে কীভাবে অমানুষের মতো বলেন যে, খালেদা জিয়াকে বাইরে পাঠানোর কোনো সুযোগ নাই, আইনি জটিলতা আছে’- বলেন মির্জা আব্বাস।

তিনি বলেন, ‘একটা মানুষের জীবন বাঁচাতে পৃথিবীর কোনো আইন-টাইন কাজে লাগে না। যখন জীবন বাঁচানোর প্রয়োজন হয়, তখন তার জন্য যে চিকিৎসা দরকার, যেখানে চিকিৎসা দরকার, যেটা করা দরকার- এটা হলো মানবিক আইন। আন্তর্জাতিক জেনেভা কনভেনশনের একটা আইন আছে, সেই আইনে উনি চিকিৎসা পেতে পারেন। তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না।’

কারাবন্দি নেতাদের বিদেশে পাঠানোর অতীত উদাহরণ তুলে ধরে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘গতকাল আমাদের মহাসচিব বলেছেন, ‘৪৮ ঘণ্টার মধ্যে উনাকে বিদেশে পাঠাতে হবে। আজ দেখলাম উনারা (সরকার) বলছেন, আইনের জটিলতা আছে। আমি স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সময় আ স ম আবদুর রবকে জার্মান পাঠানো হয়েছিল। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সময় আজকের যে বেঈমান একটা আছে রাশেদ খান মেনন, তাকে বিদেশে পাঠিয়েছিলেন। তার লিভার টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছিল। তাকে সুস্থ করেছিলেন। আজ সে আমাদের বিরুদ্ধে কথা বলে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘হাজী সেলিম ব্যাংকক গেল, চিকিৎসা করে ফেরত এলো। সে বাইরে আছে, এখন সহিসালামতে আছে। ম খ আলমগীর (মহিউদ্দিন খান আলমগীর) একই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত, বাইরে ঘুরাফেরা করছে। মায়া (মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া) একই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত, বাইরে ঘুরাফেরা করছে। অথচ আমার নেত্রী কিছুই অপরাধ করেননি, তাকে বন্দি করে রাখা হয়েছে।’

মিলাদ মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সাবেক ছাত্রনেতা শামসুজ্জামান দুদু, হাবিবুর রহমান হাবিব, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, খায়রুল কবির খোকন, জহির উদ্দিন স্বপন, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, নাজিম উদ্দিন আলম, ফজলুল হক মিলন, শিরিন সুলতানা, আসাদুর রহমান খান, এবিএম মোশাররফ হোসেন, আমিরুল ইসলাম খান আলিম, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল প্রমুখ।

সারাবাংলা/এজেড/পিটিএম

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন