বিজ্ঞাপন

মেধাবীদের রাজনীতিতে আসা প্রয়োজন: তথ্যমন্ত্রী

October 19, 2023 | 6:30 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: মেধাবীদের রাজনীতিতে আসার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, রাজনীতি থেকে মেধাবীরা দূরে সরে যাচ্ছে। রাজনীতির মঞ্চ তো সে জন্য খালি থাকছে না! মেধাবীরা রাজনীতিতে না আসায় মেধাহীনরা রাজনীতির মঞ্চ দখল করছে এবং মেধাহীনরা পার্লামেন্টেও যাচ্ছে। দেশও পরিচালনা করছে। সে জন্য মেধাবীদের রাজনীতিতে আসা প্রয়োজন।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের সদস্যদের সন্তানদের জন্য আয়োজিত মেধাবৃত্তি ও সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের সভাপতি মামুন ফরাজী, সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান হৃদয়। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন। আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ডিএসইসির সাবেক সভাপতি কায়কোবাদ মিলন, শাহ মুহাম্মদ মুতাসিম বিল্লাহ, কে এম শহীদুল হক, নাসিমা আক্তার সোমা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুমন ইসলামসহ অন্যরা। অনুষ্ঠানে ২৬ জন কৃতি শিক্ষার্থীকে ক্রেস্ট, সংবর্ধনা ও আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কেউ রাজনীতি বাইরে নই। কেউ রাজনীতি না করলেও রাজনীতির প্রভাব প্রত্যেকের জীবনে আছে। সে জন্য আমি মনে করি, আমাদের শিশুদের; ভবিষ্যত বাংলাদেশের কর্ণধরদের সঠিকভাবে বেড়ে ওঠার জন্য সুস্থ রাজনীতি দেশে দরকার। অসুস্থ রাজনীতি সমাজকেও অসুস্থ করে দেয়। সহিংসতার রাজনীতি এবং সব কিছুকে উড়িয়ে দেওয়ার রাজনৈতিক যে সংস্কৃতি আমরা চালু করেছি এটি পুরো রাজনীতিকে অসুস্থ করে দিচ্ছে।’

বিজ্ঞাপন

‘সেটি আমাদের সমাজের ওপর প্রভাব ফেলছে এবং আজকে যারা নতুন প্রজন্ম, ভবিষ্যতে দেশ চালাবে তাদের ওপরও প্রভাব ফেলছে। আরেকটি বড় বিষয় হচ্ছে, রাজনীতিতে মেধাবীরা আসছে না।’ আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জ্ঞান অর্জনে উৎসাহ দেন জানিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উৎসাহ না থাকলে তার পিএইচডি করা হতো না বলেও জানান তথ্যমন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, ‘মেধাবীরা না এলে যারা সুযোগ-সন্ধানী তারা রাজনীতিতে জায়গা করে নেয়। আজকে দুঃখজনক হলেও সত্য যে, রাজনীতি যে একটি ব্রত, দেশ সেবা-সমাজে সেবা, দেশ পরিবর্তন, সমাজ পরিবর্তন, সমাজ উন্নয়ন, রাষ্ট্র উন্নয়ন রাজনীতি যে পেশা নয়, এটি একটি ব্রত সেটাই অনেক রাজনীতিবিদ জানে না।’
আগামী নির্বাচনের পরে আবারও তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে শিগগিরই বিএনপির পক্ষ থেকে ঘোষণা আসবে বলেও এ সময় মন্তব্য করেন তিনি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গতকাল ঢাকায় দুটি বড় সমাবেশ হয়েছে এবং দুটি সমাবেশের মধ্যে দূরত্ব ছিল মাত্র দুই কিলোমিটার। ঢাকা শহরে বিন্দুমাত্র কোনো গণ্ডগোল হয়নি। রাজনীতির চর্চাটা তেমনই হওয়া প্রয়োজন কিন্তু নয়াপল্টনের সামনে সমাবেশ থেকে বলা হলো, ২৮ তারিখ তারা সমাবেশ করবেন, তখন থেকে সরকারের পতনের যাত্রা শুরু হবে।’

বিজ্ঞাপন

‘মানুষ হস্যরস করে বলে, এটা এবারের ২৮ তারিখ নাকি আগামী বছরের ২৮ তারিখ নাকি তার পরের বছরের ২৮ তারিখ। আজকে নাকি ২৮ অক্টোবরের আগেই সরকারকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছে। বিএনপি কিছু দিন আগে বলেছিল, অক্টোবর মাসে ফাইনাল খেলা। আমরা আশা করেছিলাম, অক্টোবর মাসের শুরুতে তারা ফাইনাল খেলার দিন-তারিখ ঘোষণা করবে। তারপর বললো যে, পূজার পরে। এখন দেখলাম, সেটি ২৮ অক্টোবর নিয়ে গেছে। খুব সহসা, ২৮ অক্টোবর তারা নির্বাচনের পরে আন্দোলনের ঘোষণা দেবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগামী নির্বাচনের পরে বিএনপি আবার একটা আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা আগামী ২৮ তারিখ দেবে বলে মানুষ ধারণা করছে। কারণ গত প্রায় ১৫ বছর ধরে আমরা এই আন্দোলনের হুমকির মধ্যে আছি। বাস্তবতা হচ্ছে, বিএনপি কর্মী ছাড়া জনগণের সম্পৃক্ততা সেখানে নেই।’

ফিলিস্তিনের ঘটনায় প্রতিবাদ না জানানোর কারণে বিএনপির সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এটি দুঃখজনক এবং এটির প্রতিবাদ না জানিয়ে বিএনপি কার্যত এই বর্বরতার পক্ষ অবলম্বন করেছে।’

অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার বলেন, নিজেদেরকে যোগ্য করে গড়ে তোলার মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তনে এগিয়ে আসতে হবে। উদ্যোগ নিতে হবে নিজেদের অঙিনা থেকে। তিনি সবাইকে ভালো ফলাফল করার জন্য শুভেচ্ছা জানান।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/একে

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন