বিজ্ঞাপন

গাইবান্ধায় আলুক্ষেতে মড়ক, ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা

January 26, 2024 | 10:14 am

গোপাল মোহন্ত, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

গাইবান্ধা: ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডা বাতাসে জনজীনের পর প্রভাব পড়েছে কৃষিতেও। আলু ও ধানের বীজতলাসহ মাঠে থাকা শীতকালিন নানা ফসলে দেখা দিয়েছে রোগবালাই। তবে বেশি বিপাকে পড়েছেন গাইবান্ধার আলু চাষিরা। ফসল রক্ষায় ওষুধ স্প্রেসহ নানা চেষ্টা করলেও তা কাজে আসছে না। এতে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। তবে স্থানীয় কৃষি বিভাগের দাবি, শীতজনিত রোগের হাত থেকে ফসল রক্ষায় কৃষদের পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টায় গাইবান্ধায় তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে, গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল।

চলতি বছর গাইবান্ধার ৭ উপজেলায় রেকর্ড পরিমাণ জমিতে আলু আবাদ হয়েছে। এছাড়াও রবি মৌসুমে মুলা, বেগুন, টমেটো, রসুন, চিনা বাদাম, মসলা জাতীয় ফসল ও বোরো বীজতলাসহ নানা ধরনের ফসল চাষ করেছেন কৃষকরা। শৈত্যপ্রবাহে ও ঘন কুয়াশার করণে জমিতে চাষ করা এসব ফসলে এরমধ্যেই নানা রোগ বালাই দেখা দিয়েছে। বেশি ক্ষতিরমুখে পড়েছেন আলু চাষিরা।

বিজ্ঞাপন

জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাপামারা ইউনিয়নের কৃষক বাবলু মিয়া, সোহরাব হোসেন ও আব্দুর রহমান জানান, তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় আলু ক্ষেতে পচারিসহ বিভিন্ন রোগ দেখা দিয়েছে। ক্ষেতের ফসল রক্ষায় ওষুধ স্প্রে করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না। আলু গাছে মড়ক দেখা দেওয়ায় আনেকেই আবার তড়িঘড়ি করে আলু তুলছেন। এতে আলুর উৎপাদন কমেছে। এমন পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে আরও ক্ষতির মুখে পড়বেন বলে দাবি করেন তারা।

কুয়াশা ও শীতের কারণে ধানের বীজতলার অবস্থাও খুব খারাপ। সেখানেও ওষুধ স্প্রে করা হচ্ছে। তারপরও চারাগাছ বাঁচানো যাচ্ছে না। এক্ষেত্রে আগামীতে রোরো চাষের জন্য চারা পাওয়া খুব কঠিন হয়ে যাবে বলে জানান কৃষকরা।

বিজ্ঞাপন

গাইবান্ধার বেশী আলু ও ধান উৎপাদন হয় গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায়। এই উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ রেজা ই মাহমুদ বলেন, ‘শীত ও ঘন কুয়াশায় মাঠে থাকা ফসল যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে জন্য তারা কৃষকদের প্রয়োজনীও পরামর্শ দেওয়া আব্যহত রেখেছেন। এছাড়াও বৃষ্টিতে যাতে শাক-সবজির কোনো ক্ষতি না হয় সে জন্য কৃষকদের আগাম প্রস্তুতির পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’

চলতি রবি মৌসুমে মাঠে ১১ হাজার ১৫২ হেক্টর জমিতে আলু, ৬ হাজার ৫৫৭ হেক্টর জমিতে বোরো বীজতলা, ২ হাজার ২৫ হেক্টর জমিতে বাদাম, ৩ হাজার ৩০৭ হেক্টর জমিতে গম, ৩২৬হেক্টর জমিতে বিভিন্ন ধরনের মসলা, ৯৩ হেক্টর জমিতে ধনিয়া, ৫৯ হেক্টর জমিতে কালোজিরা, ১৩ হেক্টর জমিতে ময়রী, ১ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ ও ৫ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চারা রোপন করা হয়েছে।

রংপুর আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় গাইবান্ধা জেলার তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। উত্তরাঞ্চলের সব জেলার তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জিএম/এনএস

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন