বিজ্ঞাপন

‘প্রণোদনা বন্ধ করলে পোশাক শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে’

February 4, 2024 | 9:40 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: প্রণোদনা বন্ধ করে দেওয়া হলে পোশাক শিল্প খাত ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের উপনেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। তিনি এ সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার আগামী জুন মাস পর্যন্ত রহিত করার অনুরোধ জানান।

বিজ্ঞাপন

রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদের অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এ কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করছিলেন।

আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, গত ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক একটি সার্কুলার জারি করেছে। পোশাক শিল্পের প্রণোদনা তারা বন্ধ করেছে। এই পোশাক শিল্প আমাদের বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি প্রধান চালিকাশক্তি। বর্তমানে যেখানে আমাদের ডলার সংকট এবং রফতানি আয়ের ওপর চাপ পড়েছে, সেই মুহূর্তে এই সার্কুলারটি আমি মনে করি আমাদের অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর হবে।

তিনি আরও বলেন, যে উদ্দেশ্যে এই সার্কুলার জারি করা হয়েছে, সেই উদ্দেশ্যের সঙ্গে আমি একমত। তবে হঠাৎ করে যদি ভর্তুকি-প্রণোদনা সব বন্ধ করে দেওয়া হয়, তাহলে পোশাক খাত অসুবিধার মধ্যে পড়বে। প্রশ্ন হচ্ছে— এরই মধ্যে আগামী জুন পর্যন্ত ভর্তুকি (সাবসিডি) দেওয়ার একটি প্রজ্ঞাপন আছে। পোশাক শিল্পের সংশ্লিষ্টরা জুন পর্যন্ত যেসব চুক্তি করেছেন, এই ভর্তুকিকে হিসাবের মধ্যে নিয়েই তারা সেসব চুক্তি করেছেন। এখন সেই ভর্তুকি বন্ধ করে দেওয়া হলে পোশাক শিল্পের সংশ্লিষ্টরা প্রচণ্ড ক্ষয়ক্ষতির মধ্যে পড়বেন।

বিজ্ঞাপন

সম্প্রতি পোশাক শিল্প খাতে মজুরি বাড়ানো, জ্বালানি-গ্যাসের দাম বাড়ানো হলেও সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে না পারা, বিভিন্ন দেশে আমাদের দেশে তৈরি পোশাকের চাহিদা কমে যাওয়ার মতো বিষয়গুলোও উল্লেখ করেন আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। বলেন, এমন পরিস্থিতিতে প্রণোদনা বন্ধের সার্কুলার পোশাক শিল্পের জন্য অসুবিধা ও ক্ষতির কারণ হবে বলে মনে করি। সে কারণে আমি অর্থমন্ত্রী, বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে অনুরোধ করব— তারা যেন এই সার্কুলারটি স্থগিত করেন। জুন পর্যন্ত যে সাবসিডি দেওয়ার কথা ছিল, সেটি যেন অন্তত দেওয়া হয়। এরপর যেন ক্রমান্বয়ে সেটি কমিয়ে আনা হয়।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন