বিজ্ঞাপন

‘প্রেস কাউন্সিল আইন আরও যুগোপযোগী করা প্রয়োজন’

February 14, 2024 | 10:06 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা পেশায় জবাবদিহিতা আনতে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রেস কাউন্সিল আইন আরও যুগোপযোগী করা প্রয়োজন।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর সার্কিট হাউজ রোডের তথ্য ভবন মিলনায়তনে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রেস কাউন্সিল আইন আরও যুগোপযোগী করা প্রয়োজন। আমাদের উদ্দেশ্য গণমাধ্যমের জায়গা ও পরিবেশ আরও স্বচ্ছ, সুন্দর এবং শক্তিশালী করা। গণমাধ্যমের স্থান যাতে কোনোভাবেই সংকুচিত না হয়। তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা যাতে আরও উন্মুক্ত হয় সেটিই সরকারের উদ্দেশ্য।

তিনি বলেন, অপতথ্য রোধ করা এবং গণমাধ্যমের নামে অপপ্রচার জবাবদিহিতায় আনা সরকারের উদ্দেশ্য। এই জায়গায় সরকার, রাজনৈতিক দল, রাজনীতিবিদ, গণমাধ্যম বা অন্য কোনো পেশার কারো মধ্যে কোনো দ্বিমত নেই।

বিজ্ঞাপন

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতার মূল কাজ কর্তৃপক্ষকে ও সরকারকে জবাবদিহিতায় আনা। সমাজের দর্পণ হিসেবে সমাজের বিভিন্ন অসঙ্গতি, ভালো-মন্দ সবকিছু তুলে ধরা। কিন্তু অন্যান্য পেশার মতো এ পেশার মধ্যেও আমরা অনেক ক্ষেত্রে দেখি সাংবাদিকতার নামে অপসংবাদিকতা, পেশাদারিত্বের জায়গায় অপেশাদারী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ অনেক সময় ঘটে।

তিনি বলেন, যারা সমাজের সর্বক্ষেত্রে সবাইকে জবাবদিহির আওতায় আনবেন, সে পেশায়ও কিছুটা জবাবদিহি থাকার প্রয়োজন আছে। সে জায়গায় প্রেস কাউন্সিলের মতো প্রতিষ্ঠানের খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, যারা পেশাদারিত্বের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিকতা করে আসছেন এবং এখনও করছেন তাদের সবার পেশাদারিত্বের প্রতি একধরণের আকর্ষন আছে। তারা চান এ পেশার মধ্যেও একটা স্বচ্ছতা, জবাবদিহি এবং এক ধরনের শৃঙ্খলা থাকুক। এই চাহিদা সাংবাদিক সমাজের মধ্য থেকেই আমি দেখেছি। সেখানে সরকার এবং গণমাধ্যমের মধ্যে এক ধরনের মেলবন্ধন এবং একটা সহযোগিতার সম্পর্ক হতে পারে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, সরকারের সমালোচনা ও যেকোন ধরনের শক্ত প্রশ্ন স্বাগত জানাই। যে কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে বা কোনো ব্যর্থতা-বিচ্যুতি থাকলে, সমালোচনা হলে সেগুলো স্বীকার করে নিতে এবং সামনের দিকে আরও ভালো কিছু করার প্রত্যয় ব্যক্ত করতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু সাংবাদিকতাকে অপব্যবহার করে কোনো গোষ্ঠী যাতে, ষড়যন্ত্র করতে না পারে সেটা খেয়াল রাখতে হবে। সেখানে প্রেস কাউন্সিলের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিকবান্ধব এবং গণমাধ্যমবান্ধব। গত ১৫ বছরে গণমাধ্যমের বিস্তৃতি ঘটেছে এবং এ সময়ে উদারনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি ছিল গণমাধ্যমের ক্ষেত্রে। অথচ যারা অভিযোগ করে এ সরকার গণমাধ্যমের জায়গা সংকুচিত করেছে, তারা কখনও বলে না গণমাধ্যমের কল্যাণে কতটা সহানুভূতি নিয়ে এ সরকার কাজ করছে। এ বিষয়গুলো সামনে নিয়ে আসতে হবে এবং যারা বিভিন্ন ধরণের অপপ্রচার করছে তাদের জবাব দিতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের মৌলিক জায়গা হচ্ছে, এ দেশে গণতন্ত্র থাকতে হবে, মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকতে হবে। এটি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অংশ। পাশাপাশি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা থাকতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা যেমন প্রয়োজন অপতথ্য রোধ করা একইসাথে প্রয়োজন। কিন্তু আমাদের সতর্ক থাকতে হবে, অপতথ্য রোধ করতে গিয়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জায়গা যেন সংকুচিত না হয়ে যায়।

বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স.ম. গোলাম কিবরিয়া। স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দফতর-সংস্থার প্রধানরাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেআর/এনইউ

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন