বিজ্ঞাপন

‘সুপ্রিম কোর্টের বিচারক বাড়ানোর পরিকল্পনা সরকারের বিবেচনায় আছে’

February 22, 2024 | 8:42 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: মামলাজট কমানোর লক্ষ্যে বিচারকের সংখ্যা বৃদ্ধি ও নতুন আদালত প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়টিও সরকারের বিবেচনায় রয়েছে বলেও তিনি জানান।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে আইনমন্ত্রী এ সব তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করছিলেন।

আনিসুল হক বলেন, ‘দেশের মামলাজট কমানোর লক্ষ্যে বিচারকের সংখ্যা বৃদ্ধির এবং নতুন আদালত প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সম্প্রতি সহায়ক জনবলসহ ৪৭টি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, সাতটি সাইবার ট্রাইব্যুনাল, সাতটি মানবপাচার ট্রাইব্যুনাল, সাতটি সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল, গাজীপুর ও রংপুর চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, দু’টি মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, ৩০টি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও ২২টি জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, ৬২টি অতিরিক্ত জেলা জজ আদালত ও ১১টি অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত, পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলায় একটি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও একটি সিনিয়র সহকারী জজ আদালত, গাজীপুর, রংপুর ও বরিশালে তিনটি মহানগর দায়রা জজ আদালত, তিনটি অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত ও তিনটি যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালত সৃষ্টি করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ ছাড়া, ১১টি যুগ্ম জেলা জজ, ৩৪টি যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ ১৭টি অর্থঋণ আদালত, ২১৪টি সহকারী জজ আদালত, ১৩টি ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল, ৫৪টি ল্যান্ড সার্ভে আপিল ট্রাইব্যুনাল, চট্টগ্রাম জেলায় তিনটি অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, ১০টি মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, সাতটি অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এবং মাদক সংক্রান্ত মামলা বিচারের জন্য স্বতন্ত্র ৩০টি অতিরিক্ত জেলা জজ, ২৪টি অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ, ৬৬টি যুগ্ম জেলা জজ ও ৩২টি যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালত সৃজনের প্রস্তাব প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বিচার কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনের জন্য বিচারকের নতুন পদ সৃজনে বর্তমান সরকার কার্যকর উদ্যোগ নিয়েছে। সরকারের আন্তরিক উদ্যোগের কারণেই অধস্তন আদালতে বিভিন্ন পদমর্যাদার ৩৫৯টি বিচারকের পদ সৃজন করা হয়েছে। আদালতগুলো যাতে সুষ্ঠুভাবে কাজ করতে পারে সেজন্য ১৯৯৯টি সহায়ক পদ সৃজন করা হয়েছে। অপরদিকে ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে চারদলীয় বিএনপি-জামায়াত জোট আমলে মাত্র ২৫টি বিচারকের পদ এবং ১৩৩টি সহায়ক জনবলের পদ সৃজন করা হয়। ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত অধস্তন আদালতে মোট ১,৪২৬ জন বিচারক (সহকারী জজ) নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পক্ষান্তরে ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত চারদলীয় বিএনপি-জামায়াত জোট আমলে অধস্তন আদালতে মাত্র ১৯০ জন বিচারক নিয়োগ করা হয়েছিল। এছাড়াও ১৬শ বিজেএস এর মাধ্যমে ১০৪ (একশত চার) জন বিচারক নিয়েগের জন্য বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশন সুপারিশ করছে। আরও ১০০ জন বিচারক নিয়োগ পরীক্ষার প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশন বরাবর চিঠি পাঠানো হয়েছে।’ এ ছাড়া, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়টি সরকারের বিবেচনায় রয়েছে বলেও জানান তিনি।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/পিটিএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন