বিজ্ঞাপন

৭ই মার্চের ভাষণের কপিরাইট পেতে এখনই উদ্যোগ নিতে হবে: জাফর ওয়াজেদ

March 7, 2024 | 6:35 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের পুরো ভাষণটি রক্ষা করা এবং ভাষণের কপিরাইট পেতে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) এর মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সকালে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটে ‘বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ এবং বাংলাদেশের গণমাধ্যম’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের (এনআইএমসি) অতিরিক্ত মহাপরিচালক সুফী জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচ্য বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লে. কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির বীরপ্রতীক। এনআইএমসি‘র পরিচালক (প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠান) ড. মো. মারুফ নাওয়াজের সঞ্চালনায় সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন অপর পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম, উপ–পরিচালক তানিয়া খান, সুমনা পারভীন। সেমিনার সমন্বয় করেন সহকারী পরিচালক তানজীম তামান্না।

পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ বলেন, ‘৭ মার্চ নিয়ে আমরা এখনও উদাসীন। বঙ্গবন্ধু মারা যাওয়ার ২১ বছর পর্যন্ত দেশে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রচার করা যায়নি। মাইকে ভাষণ বাজানো যায়নি। এখনও আমরা বঙ্গবন্ধুর পুরো ভাষণটি রক্ষা করতে পারিনি। প্রজন্মের পর প্রজন্ম যাতে পুরো ভাষণটি শুনতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘আমরা বঙ্গবন্ধুর যে ভাষণটি পেয়েছি সেটি কাট কাট করে পেয়েছি। কারণ তখন ওই ভাষণের পুরোটি একসঙ্গে রেকর্ড করা যায়নি। তাই কাটকাট থাকার কারণে কোথাও কোথাও কিছু শব্দ বাদ পড়েছে। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ থেকে কোন শব্দ বাদ দেওয়া বা জুড়ে দেওয়ার সুযোগ নেই।’

জাফর ওয়াজেদ বলেন, ‘সরকার এখনও ৭ মার্চের ভাষণের কপিরাইট পাওয়ার কাজই শুরু করেনি। ৫৩ বছর হয়ে গেলেও সরকার পুরো ভাষণটি রক্ষা করেনি। জামদানি শাড়ির জিআই নিয়ে নেওয়ার আলোচনা হচ্ছে, আগে কিন্তু হয়নি। জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধু যে ভাষণ দিয়েছিলেন, সেটি কিন্তু সাধুভাষায়। কিন্তু পত্রিকায় ছাপা হয়েছিলো চলতি ভাষায়। সাধু ও চলতি ভাষা কিন্তু এক না। এর ফলে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ভাষণের প্রকৃত মাধুর্য কিন্তু এখানে পাওয়া যাচ্ছে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ভাষণসহ নানা ক্ষেত্রে আমরা এখনও কপিরাইটের দিকে যাইনি। সেগুলো অন্যরা দাবি করে বসলে আমাদের টনক নড়বে।’

বিজ্ঞাপন

লেখক ও গবেষক লে. কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির বীরপ্রতীক বলেন, ‘একাত্তর হচ্ছে আত্মত্যাগ, সেক্রিফাইস। আমরা আত্মত্যাগ করেছিলাম ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্যে। এখানকার সময়ের প্রত্যেককে তাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের সেক্রিফাইস করতে হবে। দেশকে গড়তে সৎ ও নিষ্ঠাবান হতে হবে। প্রকৃত দেশপ্রেমের মূল্যবোধ জাগ্রত করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বাঙ্গালি জাতির চিরলালিত স্বপ্ন স্বাধীনতা ও মুক্তির সাহসী উচ্চারণের মধ্যদিয়ে বঙ্গবন্ধু যে কালজয়ী ভাষণ দিয়েছিলেন সেই ভাষণটি হয়ে উঠেছিল একটি জাতির পরিত্রাণের মহামন্ত্র।’

জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সুফী জাকির হোসেন সভাপতির বক্তব্যে বলেন, ‘ইতিহাসের সেরা রাজনৈতিক ভাষণের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণটি সর্বশ্রেষ্ঠ। পৃথিবীর অন্যসব সাড়া জাগানো ভাষণ ছিল লিখিত। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর ভাষণটি ছিল সম্পূর্ণ অলিখিত। এই ভাষণের রূপরেখা ধরেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ইএইচটি/একে

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন