বিজ্ঞাপন

ইবিতে শ্রেণিকক্ষের দাবিতে উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাও

March 12, 2024 | 11:07 pm

ইবি করেসপন্ডেন্ট

কুষ্টিয়া: দখল করা শ্রেণিকক্ষ বেদখল করার চেষ্টার প্রতিবাদে উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাও করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুর দুইটার দিকে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচি করেন। এদিকে কক্ষ বেদখল করতে গিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিভাগের এক শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ তোলেন তারা। পরে বিকেলে উপাচার্য আলোচনায় বসে বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিলে আন্দোলন স্থগিত হয়।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, মঙ্গলবার সকালে রবীন্দ্র-নজরুল ভবনের নির্মাণাধীন শ্রেণিকক্ষের পরিদর্শনে যান উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক, প্রধান প্রকৌশলীসহ ভিজিল্যান্স কমিটি। সে সময় তারা তৃতীয় তলার কক্ষগুলো তালাবদ্ধ দেখেন। যার ফলে পরিদর্শন কাজ বাধাগ্রস্ত হয়। একপর্যায়ে তালা দেখে বিভাগের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের তালা খুলে দিতে বললে তারা তা করেননি।

প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) কে এম শরিফ উদ্দীন বলেন, ‘আমরা পরিদর্শনে গিয়ে দেখি তৃতীয় তলার রুমগুলো তালা দেওয়া। আর একটি রুমে কয়েকজন বসে আছে। এ সময় শিক্ষক শিক্ষার্থীদের তালা খুলে দিতে বললে তারা আমাদের কাজে বাধা দেন।’

তিনি বলেন, ‘ভবনটির কাজ এখনও শেষ হয়নি। সে জন্য বরাদ্দ দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। ঠিকাদাররা বিলের আবেদন করেছে। তাদের বিল দেওয়া হবে তাই কাজ দেখতে গিয়েছিলাম আমরা। এদিকে রঙ ও ফিনিশিং এর কিছু কাজ এখনো বাকি আছে বলে জানিয়েছেন ঠিকাদাররা।’

বিজ্ঞাপন

শিক্ষার্থীদের দাবি, ডেভেলমমেন্ট স্টাডিজ বিভাগে পাঁচটি ব্যাচ চলমান রয়েছে। গত ৬ বছর ধরে তারা ধার করা একটি শ্রেণিকক্ষে ক্লাস করছেন। শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে তারা রুম দখল করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সকালে পরিদর্শনে গিয়ে বিভাগের শিক্ষকদের সঙ্গে অসৌজ্যমূলক আচরণ করেছেন বলেও অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘সকালে পরীক্ষা চলাকালে শ্রেণিকক্ষ নিয়ে বিভাগের শিক্ষকদের হেনস্থা করেছে প্রশাসন। এ সময় ওই কক্ষে সজোরে লাত্থি মারেন তারা। পরে কক্ষগুলোর তালা খুলে দিতে এক ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে যান। যা শিক্ষকদের জন্য অপমান।’

উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ১৫-২০ জনের একটি টিম পরিদর্শনে গেছে। এ ছাড়া দুমাস পর ভবনটি আমরা বুঝে পাব। তারপর আমরা কক্ষগুলো বণ্টন করতে পারব। এভাবে তালা দিয়ে চলমান উন্নয়ন কাজে বাধা প্রদান একটি ফৌজদারি অপরাধ।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘শ্রেণিকক্ষ দরকার হলে শিক্ষার্থীরা আবেদন জমা দেবে। তাহলে কক্ষ বণ্টনের সময় বরাদ্দ দেওয়া হবে। আর ঘটনাস্থলে কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে আমি অনুতপ্ত। আমরা শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে নই। বিষয়টি নিয়ে আগামীকাল (মঙ্গলবার) বসা হবে।’

সারাবাংলা/একে

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন