বিজ্ঞাপন

সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে বাজারে মিলছে না খেজুর

March 13, 2024 | 9:05 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: রোজার আগে আমদানি শুল্ক কমিয়ে ও দাম বেঁধে দিয়েও খেজুরের বাজার নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। অতি সাধারণ ও নিম্নমানের খেজুরের সরকার নির্ধারিত দাম ১৫০ থেকে ১৬৫ টাকা। কিন্তু সেই খেজুর বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়। বহুল ব্যবহৃত জাইদি খেজুরের দাম ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা বেঁধে দিলেও বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়।

বিজ্ঞাপন

বাজারে সবচেয়ে ভালো মানের খেজুর দুই হাজার ২০০ টাকা কেজিতেও বিক্রি হচ্ছে। এবছর খেজুরের দাম কেজিতে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বেড়েছে। প্রকারভেদে এই দাম আরও বেশি। গেল বছর প্রতি কেজি খেজুর ১৫০ টাকায় মিললেও এ বছর ২২০ টাকার নিচে খেজুর পাওয়া দুষ্কর।

বুধবার (১৩ মার্চ) রাজধানীর কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বিজ্ঞাপন

রোজার আগে সরকার খেজুর আমদানিতে শুল্ক কমায়। খেজুর আমদানির ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ কমানো হয়েছে। আগে যেখানে আমদানি শুল্ক ছিল ২৫ শতাংশ, রমজানকে সামনে রেখে সেটি কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়। খেজুর আমদানিকারকেরা এ সুবিধা পাবেন ৩০ মার্চ পর্যন্ত। ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে সরকার এ ঘোষণা দেয়।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দেখা গেছে, সবচেয়ে কমদামি জিহাদি খেজুর ২২০ টাকা, তিউনেশিয়া রয়েল খেজুর ৫৫০ টাকা, বরই খেজুর ৪৮০ টাকা, কামরাঙ্গা মরিয়ম ৭০০ টাকা, আজুয়া ৯০০ টাকা, মাবরুন মরিয়ম ৯৫০ টাকা, আম্বার এক হাজার টাকা, মেদজুল ৯০০ টাকা, সালবি ৭০০ টাকা ও ইরানি মরিয়ম এক হাজার টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ান কাজারের বিক্রমপুর ফল বিতানের মূল্য তালিকা অনুযায়ী, দাবাস খেজুর ৪৪০ টাকা, জাইদি খেজুর ২৮০ টাকা, বড়ই খেজুর ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকা, মাশরুক খেজুর ৭০০ টাকা, আলজেরিয়ান খেজুর ৫৫০ টাকা, মাবরুর খেজুর এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ টাকা, সৌদি মরিয়ম খেজুর ৯০০ টাকা, আজুয়া এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৪০০ টাকা, কালমি খেজুর ৯০০ টাকা, মরিয়ম খেজুর ৯০০ থেকে এক হাজার, মেডজুল খেজুর এক হাজার ৩০০ থেকে এক হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

খেজুরে শো রুম মদিনা ডেটস-এ দেখা গেছে, জাইদি খেজুর ৩০০ টাকা, লুলু খেজুর ৪০০ টাকা, নাগাল ৪০০ টাকা, সালাবি ৬৯০ টাকা, দাব্বাস ৫৫০ টাকা, আজওয়া দুই হাজার টাকা, মাবরুম এক হাজার ৭০০ টাকা, মাজদুল এক হাজার ৩০০ টাকা, সুক্কারি এক হাজার ৩০০ টাকা, আনবারা এক হাজার ৫০০ টাকা, সোগাই এক হাজার ৩০০ টাকা, মেডজুল দুই হাজার ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

খেজুর বিক্রিতা হাফিজুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, গতবারের চেয়ে এবার কেজিতে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বেশি রয়েছে খেজুরের দাম। কিছু খেজুরে দাম তার থেকেও বেশি বেড়েছে।

ফুটপাতের এই দোকানি বলেন, আমরা বাদামতলি থেকে কিনে নিয়ে আসি। দুই মাস আগেও কামরাঙ্গা মরিয়ম খেজুরের ১০ কেজি কার্টুনের দাম ছিলো তিন হাজার টাকা, এখন কিনতে হয় ৫৫০০ টাকা দিয়ে। রোজাকে সামনে রেখেই খেজুরের দাম বেড়েছে।

বিজ্ঞাপন

সরকার খেজুরের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে, বিষয়টি জানা আছে কিনা জানতে চাইলে কারওয়ানবাজারের এই বিক্রেতা বলেন, আমরা বিষয়টি জানি না। খেজুরের দাম এক টাকাও কমেনি।

কারওয়ান বাজারের আরেক দোকানি জানান, খেজুরের দাম বাজারে আগের মতোই রয়েছে। দাম কমেনি একটুও।

এদিকে, কারওয়ান বাজারে খেজুর কিনতে এসেছিলেন ফাহাদ। সারাবাংলাকে তিনি বলেন, আগে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজিতে খেজুর কেনা যেতে। মোটামুটি মানের খেজুর এই দামেই পাওয়া যেতো। এখন একটু মধ্য মানের খেজুর কিনতে ৫০০ টাকার বেশি খরচ করতে হচ্ছে। আবার কোনোটাতে হাজার টাকার মতো খরচ হচ্ছে।  রোজার আগেও দাম এতোটা বেশি ছিল না। ব্যবসায়ীদের এমন আচরণ ঠিক নয়। ভোক্তার গলা কেটে লাভ করবে এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।

সারাবাংলা/ইএইচটি/এনইউ

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন