বিজ্ঞাপন

‘বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন ও আদর্শ মানুষের অন্তরে’

March 16, 2024 | 5:26 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেছেন, বিগত নির্বাচনে একটি শক্তিধর রাষ্ট্র সব ষড়যন্ত্র করার পরেও তারা সফল হতে পারেনি। সফল হতে পারেনি এ কারণেই যে, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন ও আদর্শ এদেশের মানুষের অন্তরের অন্তস্তলে আছে। সেজন্য অন্যরা যত প্রলোভনই দেখাক না কেন, বাংলার মানুষ তাদের বিশ্বাস করে না। বিশ্বাস করে না বলেই বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন টিকে আছে, বাংলাদেশ টিকে আছে, আওয়ামী লীগ টিকে আছে, অসাম্প্রদায়িকতা টিকে আছে।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (১৬ মার্চ) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনের এ টি এম শামসুল হক হলে ‘সম্প্রীতির বাংলাদেশ’ আয়োজিত ‘বাঙালি অস্তিত্বের উৎস বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক আলোচনা সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন৷

মাকসুদ কামাল বলেন, ‘বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর পরই শিক্ষানীতি করার জন্য ড. কুদরত-ই-খুদাকে প্রধান করে কমিশন করেন বঙ্গবন্ধু। ড. কুদরত-ই-খুদা সেদিন যে শিক্ষানীতি দিয়েছিলেন, যদি বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকতেন এবং সেই শিক্ষানীতি যদি প্রয়োগ হতো, তাহলে বাংলাদেশ বহু আগেই সিঙ্গাপুরের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক যে স্থিতিশীলতা সেটি অর্জন করতো। শিক্ষাক্ষেত্রে সিঙ্গাপুরের যে অগ্রগতি সেটি বহু আগেই বাংলাদেশ অর্জন করতো। কিন্তু ঘাতকরা সেটি হতে দেয়নি। ঘাতকরা চেয়েছে বাংলাদেশ হবে পাকিস্তানের মতো অনেকটা মৃত অকার্যকর রাষ্ট্র।’

তিনি বলেন, ‘যে দলের জন্মে বঙ্গবন্ধু, যে দলের অস্তিত্বে বঙ্গবন্ধু, যেই দলের উৎসে বাঙালি জাতীয়তাবাদ, অসাম্প্রদায়িকতা সেই দলের রাজনৈতিক অনুসারীদের হত্যা করলেও যে আদর্শ মানুষের অন্তরে অন্তস্থলে আছে সে আদর্শকে হত্যা করা যায় না। সেটির প্রমাণ হলো- বারবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন, অর্থনৈতিক দর্শন, সামাজিক দর্শন এবং বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্রনীতি সেটি বাস্তবায়ন হতে চলেছে।

বিজ্ঞাপন

সভাপতির বক্তব্যে পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘সাধারণ মানুষের আকাঙ্ক্ষার মধ্যেও বঙ্গবন্ধুর গবেষণা চলছে। তিনি এখনো আমাদের কাছে অতি প্রয়োজনীয়। একটি জাতিকে তিনি মুক্ত করেছেন অপরিসীম দুঃখ-কষ্ট ও ত্যাগ সহ্য করে। অবর্ণনীয় নির্যাতন সহ্য করে তিনি বাঙালির স্বাধীনতা এনেছেন। বাঙালির জীবনে অনেক বরেণ্য ব্যক্তি আসছে। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে বঙ্গবন্ধু শ্রেষ্ঠ বাঙালি হয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন বাঙালির অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তি। সাড়ে সাত কোটি নির্যাতিত, বৈষম্যের শিকার হওয়া মানুষদের তিনি সুসংগঠিত করেছেন। সংগঠিত করে তিনি একটি জাতির স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। স্বাধীনতা এনে দিয়ে তিনি বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছেন বাঙালি পিছিয়ে পড়া জাতি নয়। বিশ্বের মাঝে বাঙালি জাতিকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার সাহস দিয়েছেন। তিনি জীবনভর বৈষম্যহীন একটি জাতির কথা বলে গেছেন। ভাষার জন্য লড়াই করেছেন, জাতিসত্তার জন্য লড়াই করেছেন। ধর্মনিরপেক্ষতার কথা তিনি মুখেই বলেছেন এমনটা নয়। ধর্মনিরপেক্ষতার কথা তিনি সংবিধানেও সংযোজন করেছেন।’

সম্প্রীতি বাংলাদেশের সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. বিমান চন্দ্র বড়ুয়া, বঙ্গবন্ধু গবেষক মেজর (অব.) হাফিজুর রহমান প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/পিটিএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন