May 26, 2018 | 3:33 pm
ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক ।।
বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাস ও অস্থিরতার সংবাদ পত্রিকার সিংহভাগ জুড়ে থাকে অথচ আন্তর্জাতিক নীতিনির্ধারকরা এড়িয়ে যাচ্ছেন শান্তির প্রসঙ্গ। ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা অথবা নিছকই শক্তির যুদ্ধে ক্লান্ত বিশ্ব নাগরিকরা স্বপ্রণোদনায় সমস্যার বাস্তব সমাধানের পথ বের করতে চাইছেন।
চলতি বছর মে মাসে বিশ্ব শান্তি ঘোষণার ৫ বছর উপলক্ষে ৫০টি দেশের একশরও বেশি শহরের ‘ফিফথ অ্যানুয়াল কমমেমোরেশন অব ডিক্লেয়ারেশন অব ওয়ার্ল্ড পিস’ নামে একটি প্রচারণা চালানো হয়। এতে প্রায় ৩০ হাজারের বেশি শান্তির স্বেচ্ছাসেবক অংশ নেয়। এ প্রচারণার লক্ষ্য তৃণমূল পর্যায়ে যেমন তরুণ, নাগরিক সংগঠন, নাগরিক ও সংবাদ মাধ্যমকে যুক্ত করা। ২০১৩ সালে জাতিসংঘের সহযোগী সংস্থা ইউনাইটেড নেশনস ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কাউন্সিল (ইকোসোকো), হেভেনলি কালচার, ওয়ার্ল্ড পিস, রেসট্রোকশোন অব লাইটের (এইচডব্লিউপিএল) মতো সংগঠনগুলো সমাজের সকল মানুষকে শান্তির জন্য একসাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে।
দুই কোরিয়ার মধ্যকার সংযোগ পুনঃস্থাপনে ইন্টারন্যাশনাল পিসের তরুণ দল আইপিওয়াইজি’র আয়োজনে দেশগুলোর সরকারি সংস্থা, সামাজিক প্রতিনিধি এবং নাগরিকদের কাছ থেকে “শান্তি বার্তা” সংগ্রহ করেছে। আইপিওয়াইজি জানায়, সারা বিশ্ব থেকে সংগ্রহ করা এই শান্তি বার্তা দুই কোরিয়ার শীর্ষ দুই নেতাকে দেওয়া হবে।
শান্তির স্বেচ্ছাসেবকরা ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, চায়না, ফ্রান্স, ইন্ডিয়া, প্যালেস্টাইন, আফগানিস্তান প্রভৃতি দেশের সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে শান্তির যাত্রা করেছে, শান্তির জন্য বার্তা দিয়েছে এবং শান্তির গানও গেয়েছে। সেই গানে আন্তর্জাতিক আইনে শান্তির সপক্ষে আইন তৈরি ও সংস্কৃতি বিস্তারের কথা বলা হয়েছে।
রেস্ট্রকশন অব লাইট (এইচডব্লিউপিএল) এর চেয়ারম্যান মান হী লী ইউরোপিয়ান দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে তার সম্প্রতি শান্তি বৈঠকে বলেন, বিশ্বের নাগরিকদের হাতে শক্তি আছে যে তারা তাদের নেতাদের কাছে শান্তি দাবি করতে পারে। নেতারা যদি পৃথিবীকে ভালোবাসেন, নিজের দেশকে ভালোবাসেন, নিজের মানুষদের ভালোবাসে তাহলে তাদের উচিত বিশ্বজুড়ে একটি শান্তির আইন প্রতিষ্ঠায় একসঙ্গে কাজ করা।