March 25, 2024 | 11:49 pm
ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
যশোর: জেলার সদর উপজেলার চুড়ামনকাটিতে ট্রেনের নিচে ঝাঁপিয়ে পড়ে মা ও মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। সোমবার (২৫ মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে চুড়ামনকাটির পোলতাডাঙ্গা শ্মশানঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার করা দু’জন হলেন- সদর উপজেলার বড় হৈবতপুর গ্রামের মৃত মকসেদ আলীর মেয়ে লাকি বেগম (৩৫) ও তার মেয়ে সুমাইয়া খাতুন মিম (১২)। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আত্মহত্যার কারণ জানা যায়নি।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বড় হৈবতপুর গ্রাম লাকি বেগমের পৈত্রিক ঠিকানা হলেও স্বামী পরিত্যক্ত এই নারী একমাত্র মেয়ে সুমাইয়া খাতুন মিমিকে সঙ্গে নিয়ে সাতমাইল বাজারে ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতেন। সোমবার বিকেল তিনটার দিকে লাকি তার মেয়ে মিমকে সঙ্গে নিয়ে চুড়ামনকাটির পোলতাডাঙ্গা শ্মশানঘাট এলাকায় রেললাইনের কাছে আসেন। এ সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী সুন্দরবন ট্রেনটি যাচ্ছিল। তখন তিনি মেয়েকে নিয়ে ওই ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেন।
চুড়ামনকাটির পোলতাডাঙ্গা এলাকার প্রত্যক্ষদর্শী সাখাওয়াত হোসেন জানান, হঠাৎ করেই মেয়েকে নিয়ে লাকি বেগম ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেন। সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি চলে যাওয়ার পর তিনি লাশ দুটি পড়ে থাকতে দেখেন।
নিহতের ছোট বোন রোজিনা খাতুন জানান, তার বোন লাকি বেগমের সকালে ডাক্তার দেখাতে যশোরে যাওয়ার কথা। কিন্তু দুপুরের পর বোনের মোবাইল থেকে ফোন করে জানানো হয় তারা ট্রেনে কেটে মারা গেছে। তবে কী কারণে তারা আত্মহত্যা করেছে তা তিনি জানেন না।
রোজিনা আরও জানান, তার বোনের দুই জায়গায় বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু সংসার টেকেনি। পরে তিনি মেয়েকে নিয়ে সাতমাইল এলাকায় ভাড়া থাকতেন।
স্থানীয় সাজিয়ালী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) সেলিম হোসেন জানান, খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই নারী মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে কী কারণে আত্মহত্যা করেছেন তা এখনও জানা যায়নি। মরদেহের পাশ থেকে একটি বড় আকারের কেক, একটি মোবাইল ফোন ও দুটি ভ্যানিটি ব্যাগ পাওয়া গেছে। রেলওয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে।
যশোর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মনিতোষ বিশ্বাস জানান, খবর পেয়ে ট্রেনে কাটা মা ও মেয়ের মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছেন। এরপর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সারাবাংলা/পিটিএম