বিজ্ঞাপন

কাতারে জনশক্তি রফতানির চুক্তি কাল, অপেক্ষায় আরও ২ দেশ

April 21, 2024 | 5:06 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি আমদানির দিক থেকে কাতার পুরনো দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। দেশটিতে বর্তমানে ৪ লাখ বাংলাদেশি কর্মী বিভিন্ন পেশায় কাজ করছেন। এই সংখ্যা আরও বাড়াতে চায় সরকার। সে করণীয় ঠিক করতে দেশটির সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারকে সই করার প্রস্তুতি নিয়েছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।

বিজ্ঞাপন

মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রুহুল আমিন জানিয়েছেন, কাতারের শ্রমবাজার সম্প্রসারণের পাশাপাশি সেখানে থাকা শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানেও কাজ করবে এই ‘এমওইউ’। এ ছাড়া জর্ডান ও মরিশাসের সঙ্গেও চুক্তির আলোচনা এগিয়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

রোববার (২১ এপ্রিল) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের বিটের সংবাদকর্মীদের সঙ্গে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় সভায় এসব তথ্য জানান তিনি।

আরও পড়ুন- কাতারের সঙ্গে সই হবে ৬ চুক্তি ও ৫ সমঝোতা স্মারক

বিজ্ঞাপন

প্রবাসী কল্যাণ সচিব বলেন, ‘অভিবাসন একটি জটিল ইস্যু। এটা একক দেশের ওপর নির্ভর করে না। অনেক জটিলতা থাকলেও সেগুলো সুরাহা করে আমাদের কাজ করতে হয়।’

কাতারের শ্রমবাজারের বিস্তারিত তুলে ধরতে গিয়ে বলেন, ‘কাতারের সঙ্গে আগামীকালই (সোমবার) আমাদের সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হবে।’

কাতারে এই মুহূর্তে ৪ লাখ কর্মী বিভিন্ন পেশায় কর্মরত রয়েছে উল্লেখ করে প্রবাসী কল্যাণ সচিব বলেন, ‘কাতারে বিশ্বকাপের সময় অনেক কর্মী যেতে পেরেছে। কাতার সরকার বলছিলো আমাদের দেশ থেকে তারা দক্ষ শ্রমিক নেবেন। সেজন্যই আমাদের এখান থেকে কিন্তু নানা পেশার লোক সেখানে যাচ্ছে।’

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন- কাতারের আমির আসছেন কাল

তিনি বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে কিন্তু ১৯৮৮ সালের চুক্তি রয়েছে। আমরা এমওইউটা করছি কাতারে নানা সমস্যা ও মার্কেট কিভাবে বাড়ানো যায় সেজন্য দুই পক্ষ বসে ঠিক করার জন্য। এর আওতায় কর্মীদের সমস্যা অসুবিধাও দেখা হবে।’

দেশটিতে কর্মীদের ভিসা এই মুহূর্তে বন্ধ তাহলে কী নতুন করে কর্মী নিয়োগ শুরু করা হবে, এ প্রশ্নের জবাবে প্রবাসী কল্যাণ সচিব বলেন, ‘সেজন্য এখন পেশাজীবীরা যাচ্ছেন।’

দায়িত্ব নেওয়ার পর গত সাড়ে তিন মাসে শ্রম বাজার উন্নয়নে কি কি কাজ করেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে প্রবাসী কল্যাণ সচিব বলেন, ‘কাতারের পাশাপাশি জর্ডানের সঙ্গে যেকোনো সময় এমওইউ সই হতে পারে বলে দুপক্ষই একমত হয়েছি। মরিশাসের সঙ্গেও প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। মাল্টার সঙ্গেও কার্যক্রম চলছে।’

বিজ্ঞাপন

প্রবাসী সচিব বলেন, ‘আপাতত এগুলো নিয়ে আমাদের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে গত তিন-চার মাসে। এছাড়া যদি আমরা বলি, রাশিয়াতে দক্ষকর্মী পাঠানো এরইমধ্যে সীমিত আকারে শুরু হয়েছে। আশা করছি ভবিষ্যতে রাশিয়া আমাদের জন্য একটি ভালো বাজার হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ব্রুনেইয়ে অনেক দিন বন্ধ থাকার পর আমার শুরু হচ্ছে। কর্মী পাঠাতে একটা চাহিদাও পেয়েছি। মরিশাসে বন্ধ থাকলেও সেটা চালু হবে। কুয়েতে কর্মী পাঠানো বন্ধ হয়ে গেছে। তবে নার্স পাঠানোর কার্যক্রম অনেকখানি এগিয়ে গেছে। তারা আমাদের নার্সের চাহিদা পাঠিয়েছে। আমরাও প্রয়োজনীয় উপাত্ত পাঠিয়েছি, যারা নার্সিংয়ে গ্র্যাজুয়েট কিংবা ডিপ্লোমা করা আছেন, তাদের মধ্যে যারা যারা আগ্রহী, সরকারিভাবে স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সহযোগিতায় তাদের তথ্য আমরা পাঠিয়েছি। আশা করছি, কুয়েতে আমরা নার্স পাঠাতো পারবো।’

রেমিট্যান্স নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘গত তিন মাসে আমাদের রেমিট্যান্স বেড়েছে। এটা শুধু আমাদের মন্ত্রণালয়ই না, বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থবিভাগ সবাই মিলে আমরা চেষ্টা করছি রেমিট্যান্সের প্রবাহ বাড়াতে।

উল্লেখ্য, দুই দিনের সফরে আগামী কাল সোমবার (২২ এপ্রিল) ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। সফরকালে তিনি নানা বিষয়ে অন্তত দশটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করবেন। এরমধ্যে বাংলাদেশ-কাতারের মধ্যে জনশক্তি রফতানি বৃদ্ধিতে সমঝোতা স্মারকে সই হচ্ছে।

সারাবাংলা/জেআর/এমও

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন