বিজ্ঞাপন

সংবাদকর্মীর ওপর হামলা: রাতে ৭ জন গ্রেফতার, বিকেলে জামিন

April 22, 2024 | 8:29 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্টঁ

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষের ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন এক সংবাদকর্মী। সাদ্দাম হোসেন নামে এক যুবলীগ নেতার নেতৃত্বে হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে ওই সংবাদকর্মী অভিযোগ করেছেন।

বিজ্ঞাপন

রোববার (২১ এপ্রিল) রাতে নগরীর ডবলমুরিং থানার মনসুরাবাদে এ ঘটনার পর পুলিশ সাতজনকে গ্রেফতার করে। তবে সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে আদালতে হাজিরের পর তারা জামিন পেয়েছেন বলে জানা গেছে।

হামলার শিকার সেলিম উল্লাহ চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের স্টাফ ক্যামেরাপারসন। হামলার পর সেলিম সাদ্দাম হোসেনসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে ডবলমুরিং থানায় মামলা করেন।

হামলার শিকার সেলিমের ভাষ্য, রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে মনসুরাবাদে সংঘর্ষের মুখে পড়েন সেলিম। এ সময় তিনি সংবাদ সংগ্রহের উদ্দেশে ভিডিও ধারণ শুরু করেন। তা দেখে ঘটনাস্থলে থাকা সাদ্দাম ও তার অনুসারীরা তাকে মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যার চেষ্টাও করেন। স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা পিছু হটে।

বিজ্ঞাপন

হামলায় চোখে ও পায়ের লিগামেন্টে মারাত্মক জখম হয়েছে বলে সেলিম জানান।

জানতে চাইলে ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুল কাদের পাটোয়ারী সারাবাংলাকে জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ সাতজনকে গ্রেফতার করেছে। সাদ্দামসহ পলাতক অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) নিশান চাকমা সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, গ্রেফতার সাত আসামিকে আদালতে উপস্থাপন করা হলে তারা জামিন আবেদন করেছিলেন। আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেছেন।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, মনসুরাবাদ এলাকার স্থানীয় যুবলীগ নেতা সাদ্দাম নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

এদিকে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিক সেলিম উল্লাহর ওপর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে)। এক বিবৃতিতে সিইউজে সভাপতি তপন চক্রবর্তী ও সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।

সারাবাংলা/আইসি/টিআর

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন