বিজ্ঞাপন

জিডি করে পরিবহন চাঁদাবাজরা সরকারের আস্থাভাজন হতে চায়

April 24, 2024 | 9:53 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: সংগঠনের মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরির (জিডি) নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সংগঠনটি বলছে, জিডি করে পরিবহন চাঁদাবাজরা সরকারের আস্থাভাজন হতে চায়।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২৪ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়।

বিবৃতিতে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম. হারুন অর রশিদ, সহ-সভাপতি তাওহিদুল হক লিটন, যুগ্ম-মহাসচিব এম. মনিরুল হক, প্রচার সম্পাদক মাহামুদুল হাসান অভিযোগ করেন, পরিবহন সেক্টরে চাদাঁবাজি, ধান্দাবাজি জিইয়ে রেখে যারা ফায়দাতন্ত্র হাসিল করতে চায়, এ ধরণের কতিপয় শ্রমিক নেতা সরকারের আস্থাভাজন হওয়ার জন্য মোজাম্মেল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা ও হামলার হুমকি দিচ্ছেন।

গণতান্ত্রিক সরকারের মন্ত্রীরা সমালোচনার ঊর্ধ্বে কি-না এমন প্রশ্ন তুলে বিবৃতিতে বলা হয়, সরকারের দায়িত্বে থাকলে গঠনমূলক সমালোচনা করা নাগরিক অধিকারের অংশ। গত ২০ এপ্রিল সকালে নগরীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন ২০২৪’ প্রকাশকালে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেছিলেন, সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশের ইতিহাসে দীর্ঘসময়ের মন্ত্রী, টানা চতুর্থ মেয়াদে তার দায়িত্ব পালন শেষ হলে ইতিহাস কথা বলবে, টানা ২০ বছর তিনি দায়িত্ব পালন করে সড়কে সম্পূর্ণ শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করতে পারেননি, যাত্রী হয়রানি, ভাড়া নৈরাজ্য ও সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে পারেননি। একজন নাগরিক অধিকার কর্মী হিসেবে বা সাধারণ নাগরিক হিসেবে এ ধরনের সমালোচনা করার অধিকার কি আমাদের নেই?

বিজ্ঞাপন

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মন্ত্রী বা সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা বা ভুলত্রুটি তুলে ধরাকে যারা সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের গন্ধ খোঁজেন, তারা তেলবাজি করে সরকারকে ভুল পথে পরিচালিত করতে চাই কি না, নানান মহলে এমন প্রশ্ন উঠেছে। যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে সড়ক পরিবহন মন্ত্রীর সম্মানহানির অভিযোগে নগরীর শাহবাগ থানায় জিডির বাদী কথিত শ্রমিকনেতা হানিফ খোকন দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে যাত্রী কল্যাণ সমিতির নানান অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। এখন তিনি সরকারের আস্থাভাজন হওয়ার লক্ষ্যে মন্ত্রীর সম্মানহানি ও সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী বলে যাত্রী কল্যাণ সমিতিকে সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড় করাতে চান।

বিবৃতিতে নেতারা বলেন, যাত্রী কল্যাণ সমিতি দীর্ঘদিন যাবত দেশের যাত্রী সাধারণের অধিকার, যাত্রী হয়রানি, ভাড়া নৈরাজ্য, সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে নানান দাবি নিয়ে রাজপথে সোচ্চার। আমাদের আন্দোলনের উদ্দেশ্য মন্ত্রী বা সরকারের পদত্যাগ নয়। বরং সরকারের পরিবহন সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, পরিবহন মালিক-শ্রমিক সংগঠনগুলোকে দায়িত্বশীল করা এবং জবাবদিহিতার আওতায় আনতে সরকারের সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করা। এসব প্রতিষ্ঠানকে যাত্রী সাধারণের সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে দায়িত্বশীল ও সংবেদনশীল করা। সড়ক দুর্ঘটনা কাঙ্খিত মাত্রায় কমিয়ে আনার জন্য উদ্যোগী করা। এসব কাজের মধ্যে দিয়ে সরকারের ভাবমুর্তি ফুটে উঠলে মন্ত্রী ও সরকারের ইমেজ বৃদ্ধি পাবে, এ সেক্টরে কাঙ্খিত সুশাসন প্রতিষ্ঠা হবে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরএফ/এনইউ

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন