বিজ্ঞাপন

রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় ২ জনের মৃত্যু

April 27, 2024 | 12:25 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় গৃহকর্মী ও স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের দাবি তারা আত্মহত্যা করেছেন। মারা যাওয়া দুইজন হলেন- রামপুরা বনশ্রীর ৫ নম্বর রোডের বাসায় জবা আক্তার যুথি (১৩) ও খিলগাঁও গোড়ানের বাসায় ফাবিয়া জাহান ফিহিমা (১২)।

বিজ্ঞাপন

তাদের দুই জনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে গৃহকর্মী যুথিকে রাত ১২টার দিকে ও ফাবিয়া জাহান ফিহিমাকে রাত সাড়ে ১২টার দিকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মৃত জবা জয়পুরহাট সদর উপ হালট্রি পুরাগোচন গ্রামের জেলার জুয়েল মন্ডলের মেয়ে। বর্তমানে রামপুরা বনশ্রীর ৫নম্বর রোডে জি-ব্লক গৃহকর্তা শাকিনুল আলম ও গৃহকর্তী নুরে জান্নাতের বাসায় কাজ করতেন।

খিলগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রহিম জানান, রাতে সংবাদ বনশ্রীর ওই বাসা থেকে গৃহকর্মী জবাকে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেচানো ঝুলন্ত অবস্থায় পাই। পরে ঝুলন্ত থেকে নামিয়ে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এই ঘটনায় গৃহককর্তা শাকিনুল আলম ও গৃহকর্তী নুরে জান্নাতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। জবার পরিবার অভিযোগ দিলে সেভাবেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

এসআই আরও জানান, মৃত জবা বনশ্রীর ওই বাসায় এক বছর ধরে কাজ করতেন। মাঝে মাঝে কাজের বিষয় নিয়ে গৃহকর্তী নুরে জান্নাত মারধর ও বকাবকি করতেন। এদিকে জবার বাবা আরেকটি বিয়ে করে অন্যত্র চলে যান। জবার মাও আরেকটি বিয়ে করে চলে যান। এসব বিষয় বিষন্নতায় ছিল। এসব কারণে আত্মহত্যা করতে পারেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রাখা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

মৃত ফাবিয়া জাহান ফিহিমা চাদপুর সদর উপজেলার হাসান করদি গ্রামের শাজাহান খানের মেয়ে। বর্তমানে খিলগাঁও পুর্ব গোড়ানের একটি বাসায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন এবং মতিঝিল সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়তেন।

খিলগাও থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) এসএম জাকির হোসেন জানান, গতরাতে ফাবিহা বাসার ফ্যানের সঙ্গে গলায় গামছা পেঁচিয়ে ফাঁস দেন। পরিবারে লোকজন দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেন। পরে ওই বাসায় গিয়ে ফাবিয়াকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নামিয়ে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

বিজ্ঞাপন

এসআই আরও জানান, মেয়ের পরিবার থেকে জানা গেছে, সে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়তে এবং মানসিক সমস্যাও ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সারাবাংলা/এসএসআর/এনইউ

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন