বিজ্ঞাপন

খাবারের আমন্ত্রণ না পেয়ে শিক্ষককে মারধর, ইউপি সদস্য গ্রেফতার

May 10, 2024 | 7:40 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

রাঙ্গামাটি: কাপ্তাই উপজেলায় একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও ইউপি সদস্য উচহ্লা মারমার বিরুদ্ধে।

বিজ্ঞাপন

গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ মে) উপজেলার রাইখালী ইউনিয়নের ডংনালা উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। রাতে থানায় মামলা দায়েরের পর অভিযুক্ত ইউপি সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুক্রবার (১০ মে) সকালে আসামিকে আদালত সোপর্দ করে চন্দ্রঘোনা থানা পুলিশ।

ভুক্তভোগী শিক্ষক রাইখালী ইউনিয়নের ডংনালা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিথুন কান্তি সাহা। অভিযুক্ত বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি উচহ্লা মারমা রাইখালী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যও।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে বিদ্যালয়ের কক্ষে সাতজন শিক্ষক ও চারজন অভিভাবক সদস্যের সামনে প্রধান শিক্ষক মিথুন কান্তি সাহাকে মারধরকরে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য উচহ্লা মারমা। পরে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন আলমারির চাবি কেড়ে নেয়। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। পরে রাত ৯টায় থানায় বাদীর অভিযোগ দায়েরের পর আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

বিজ্ঞাপন

প্রধান শিক্ষক মিথুন কান্তি সাহা বলেন, ‘বিদ্যালয়ের নারী পরিচ্ছন্নতাকর্মী মাচিংউ মারমার স্কুলে চাকরি এমপিওভুক্ত হওয়ায় এবং প্রথম বেতনের টাকা পেয়ে খুশিতে স্বেচ্ছায় স্কুলের সব শিক্ষকদের একবেলা মধ্যাহ্নভোজ করানোর জন্য ইচ্ছাপোষণ করেন। বৃহস্পতিবার শিক্ষকদের জন্য বিদ্যালয়ের একটি রুমে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেন। এই আয়োজনে এলাকার ২-৩ জন গণ্যমান্য ব্যক্তিকেও দাওয়াত করেন। এদিন সকাল ১১টায় স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি উচাহ্লা মারমা আমার কক্ষে প্রবেশ করে জানতে চান এখানে পিকনিক হচ্ছে কেন এবং কেন সভাপতিকে দাওয়াত করা হয়নি। এসময় আমি উনাকে বলি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মচারী এমপিওভুক্ত হওয়ায় দুপুরে খাবারের আয়োজন করেন ওই কর্মচারী। তিনি কাকে দাওয়াত দিয়েছেন সে বিষয়ে আমাকে অবহিত করেননি।’

প্রধান শিক্ষক আরও বলেন, ‘একথা শোনার সঙ্গে সঙ্গে সভাপতি আমাকে চড়-থাপ্পড় মেরে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন এবং নানাভাবে হুমকি দেন। এসময় স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক রাজেস ভট্টাচার্য প্রতিবাদ করলে তাকেও শাসান সভাপতি। এ ঘটনার পর রাতে থানায় মামলা দায়ের করি।’

চন্দ্রঘোনা থানার ওসি আনছারুল করিম বলেন, ‘ইউপি সদস্য ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি। তিনি দাওয়াত না পেয়ে প্রধান শিক্ষককে মারধর করে এবং আলমারির তালাচাবিও কেড়ে নেয়। এ ঘটনায় রাতে মামলা হওয়ার পর আসামিকে রাতেই গ্রেফতার করে শুক্রবার সকালে আদালত সোপর্দ করি।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এমও

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন