বিজ্ঞাপন

সুনামগঞ্জ আদালত চত্বরে খুন

July 21, 2022 | 3:28 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

সুনামগঞ্জ: জেলার আদালত চত্বরে প্রতিপক্ষের উপর্যুপুরি ছুরিকাঘাতে খোকন মিয়া (৫০) নামে এক ব্যক্তি খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে। নিহত খোকন জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার গলাখাল গ্রামের ফটিক মিয়ার ছেলে।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) বেলা একটায় এই ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় আদালত চত্বরের আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীরা হতভম্ব হয়ে পড়েন। আইনজীবীরা আঘাতকারীদের পালাতে দেননি, চারদিক ঘিরে রাখেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আদালত এলাকার আইনজীবী সহকারী সমিতির কার্যালয় প্রাঙ্গনে দুপুর সাড়ে ১২টায় খোকন মিয়াকে ঘিরে দাঁড়ায় কয়েকজন। এ সময় একজন খোকন মিয়াকে ঘুষি মারে। আরেকজন ছুরিকাঘাত করতে থাকে। অন্য আরেকজন তালার চাবি দিয়ে ঘা দিতে থাকে। রক্তাক্ত খোকন মিয়াকে তাৎক্ষণিক সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তাররা মৃত ঘোষণা করেন।

বিজ্ঞাপন

প্রত্যক্ষদর্শী আইনজীবী সহকারী মিফতাউল আলম ফিল্মি কায়দায় হামলা হয়েছে জানিয়ে বলেন, হত্যা করার উদ্দেশ্যেই আঘাত করা হচ্ছিল।

আরেক প্রত্যক্ষদর্শী আইনজীবী হাবিবুর রহমান বললেন, ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাতের সময় বোঝা গেছে ঘটনাটি পূর্ব পরিকল্পিত। প্রত্যক্ষদর্শীরা ফেরাতে ফেরাতে অসংখ্যবার শরীরে ছুরিকাঘাত করে হামলাকারী একজন। অন্যরাও নানাভাবে আঘাত করে।

খোকন মিয়ার চাচাতো ভাই মাসুক মিয়া হাসপাতালে মরদেহের পাশে বিলাপ করতে করতে জানান, গ্রামের লাল মিয়ার সঙ্গে বাড়ির জায়গা নিয়ে বিরোধ ছিল। এ নিয়ে মামলার তারিখে এসেছিলেন তারা। তিনি আদালত প্রাঙ্গনের এক দোকানে বসেছিলেন। তার পাশ থেকেই খোকন মিয়া ওঠে আসেন। এ সময় লাল মিয়ার ছেলে ফয়েজ, ইসরাইল, বাদশা মিয়ার ছেলে সাহান, আফরোজ মিয়ার ছেলে সেবুল ও সাজিদ তার ভাই খোকন মিয়াকে উপর্যুপুরি ছুরিকাঘাতে খুন করে।

বিজ্ঞাপন

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত ডা. রবীন্দ্র তালুকদার জানান, গুরুতর আহত খোকন মিয়াকে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই মারা যান। নিহতের শরীরে বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত আছে।

পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান টেলিফোনে জানান, এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক ফয়েজ আহমদ, সাজিদ মিয়া ও সেবুল মিয়াকে আটক করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলা হয়নি।

সারাবাংলা/একেএম

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন