বিজ্ঞাপন

‘দরিদ্রদের কম খরচে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে’

February 28, 2019 | 9:31 pm

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: স্বল্প আয়ের মানুষদের জন্য কম খরচে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

তিনি বলেন, আমরা চাই আধুনিক বিজ্ঞানভিত্তিক ডিজিটাল বাংলাদেশ, যেখানে স্বল্প আয়ের মানুষের স্বল্প ব্যয়ে চিকিৎসা নিশ্চিত হয়। বারডেমের মতো প্রতিষ্ঠান আরও গড়ে ওঠা উচিত। তবে মনে রাখতে হবে, যা কিছুই করা হোক, তা যেন মানুষকে কেন্দ্র করেই হয়। সেখানে স্বল্প আয়ের মানুষদের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ডায়াবেটিস সচেতনতা দিবস উপলক্ষে বারডেম অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এ কে আজাদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন ও বারডেমের মহাপরিচালক অধ্যাপক জাফর আহমেদ লতিফ।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে পুষ্টি নিশ্চিত হওয়ার নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই উন্নতি হয়েছে। যেমন— মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। স্বাস্থ্যসেবা খাতে উন্নতি হয়েছে। ডায়াবেটিস রোগীদের ডাটাবেজ তৈরির উদ্যোগ বর্তমান সরকারের লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কাজ।

সভায় জানানো হয়, ১৯৫৬ সালের এই দিনে জাতীয় অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিমসহ কয়েকজন বিশিষ্ট সমাজসেবক ও গণ্যমান্য ব্যক্তির উদ্যোগে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়। তাই প্রতিবছরের মতো এবারও ২৮ ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ‘ডায়াবেটিস সচেতনতা দিবস’ হিসেবে পালনে করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এ বছর দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য ‘উন্নত ডায়াবেটিস- সেবা পেতে আজই ডিজিটাল নিবন্ধন করুন’। এ বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ফারুক পাঠান। অনুষ্ঠানে আদর্শ ১০ জন ডায়াবেটিক রোগীকে অভিনন্দনপত্র ও ক্রেস্ট দেওয়া হয়।

‘ডায়াবেটিস সচেতনতা দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচির মধ্যে সকাল ১১টায় বারডেম অডিটোরিয়ামে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও রোগীদের মধ্যে আলোচনা ও প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে ‘কান্তি’র বিশেষ প্রকাশনা, সচেতনতামূলক পোস্টার ও লিফলেট প্রকাশ ও বিতরণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে থাকলেও র‌্যালি বা পদযাত্রা ও ‘বিনামূল্যে ডায়াবেটিস নির্ণয় কর্মসূচি’ বাতিল করা হয়।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আসাদুল ইসলাম বলেন, স্বাস্থ্যসেবা খুবই জটিল ও জরুরি একটি বিষয়। এই চিকিৎসাসেবার আয়োজন সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়, সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। বর্তমানে রোগের ধরণ পরিবর্তন হচ্ছে। সেজন্য এসব রোগ প্রতিরোধে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। তিনি জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ন্যাশনাল হেলথ রেকর্ড তৈরি করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে রোগীদের যাবতীয় তথ্য এক জায়গায় থাকবে।

অধ্যাপক জাফর আহমেদ লতিফ বলেন, ডায়াবেটিসের ভয়াবহতা প্রতিরোধে সচেতনতার বিকল্প নেই। ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা এবং এর ভয়াবহতা নির্ণয়ে বাংলাদেশ ডায়াবেটিস সমিতি ডিজিটাল নিবন্ধনের  উদ্যোগ নিয়েছে। এখানে নিবন্ধন নিয়ে রোগীরা একটি ইউনিক নম্বর পেতে পারেন, যা পরবর্তী সময়ে তার চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

বিজ্ঞাপন

মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন জানান, বাংলাদেশে এমন কোনো পরিবার নেই যেখানে ডায়াবেটিসের থাবা পড়েনি। যারা এখনও এ রোগের কবলে পড়েননি, কেবল সচেতনতার মাধ্যমেই তাদের ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশকে এই রোগ থেকে মুক্ত করা রাখা সম্ভব। দেশ, জাতি ও দেশের অর্থনীতি বাঁচাতে হলে ডায়াবেটিসের বিষয়ে অবশ্যই সচেতন হতে হবে।

সারাবাংলা/জেজে/টিআর

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন