বিজ্ঞাপন

কেসিসি নির্বাচন : দুপুরের পর পাল্টে গেছে দৃশ্য

May 15, 2018 | 4:00 pm

।। মেসবাহ শিমুল, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

খুলনা থেকে: সকাল থেকে মোটামুটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট চললেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্টে যেতে শুরু করেছে পরিবেশ। নগরীর অন্তত শ খানেক কেন্দ্র দখলে নিয়ে সরকার দলীয় মেয়র প্রার্থীর লোকজন ইচ্ছেমত ব্যালট পেপারে সিল মেরেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

কোথাও কোথাও কাউন্সিলর প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যেও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া নতুন করে স্থগিত করা হয়েছে আরও একটি কেন্দ্রের ভোট।

দুপুর নাগাদ ভোট পড়েছে ৫০ শতাংশ

বিজ্ঞাপন

নগরীর ২০ নম্বর ওয়ার্ডের আহসান উল্লাহ কলেজ কেন্দ্রে ব্যালট পেপার বাইরে এনে সিল মারার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিএনপির পোলিং এজেন্টদের বের করে দিয়ে সেখানে প্রকাশ্যে সিল মারার ঘটনা ঘটলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয় বিএনপি নেতারা।

আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী যে কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন সেই পাইওনিয়ার গার্লস স্কুল কেন্দ্রে দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে বিএনপির পোলিং এজেন্টদের জিম্মি করে নৌকার সমর্থকরা। এ সময় তাদের মোবাইল, মানিব্যাগও জব্দ করে রাখে তারা। পরে দুপুর আড়াইটায় সেখানকার ধানের শীষের একজন পোলিং এজেন্ট এ প্রতিবেদককে জানান, সাড়ে বারোটার দিকে তাদের কেন্দ্রের সবগুলো বুথ দখল করে নৌকার লোকজন। আমি সেখান থেকে কিছুক্ষণ আগে ছাড়া পেয়েছি।

একই অবস্থা দেখা গেছে নগরীর সোহরাওয়াদী কলেজ কেন্দ্রেও। সেখানে ব্যালট পেপার বাইরে এনে সিল মেরে নিজস্ব ভোটার দিয়ে আবারও তা ভেতরে পাঠিয়ে ব্যালট বাক্সে রাখা হচ্ছে। তবে দায়িত্বরত কোনো নির্বাচনী কর্মকর্তাই বিষয়টি স্বীকার করেননি।

বিজ্ঞাপন

২৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থী শমসের আলী মিন্টু অভিযোগ করেন তার প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থীর কর্মীরা ভোট ডাকাতি করেছে। তার এজেন্টদের বের করে দিয়ে প্রকাশ্যে সিল মেরে।

এদিকে বয়রা কলেজ কেন্দ্রের পরিবেশও থমথমে দেখা গেছে। কলেজ মোড়ে স্থানীয় আওয়ামী-ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা ব্যারিকেড দিয়ে ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে বাধা দিচ্ছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল ইসলাম মিন্টুর নির্দেশে ভোট কাটা হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন বিএনপি সমর্থকরা।

১ নং ওয়ার্ডের মহেশ্বরপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের অবস্থাও প্রায় একই রকম। এ ছাড়া ৩০ নং খুলনা কলেজ গেট কেন্দ্র থেকেও আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে ভোট ডাকাতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৩১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কার্যালয় কেন্দ্র থেকেও আওয়ামী লীগ প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেকের কর্মী বাহিনীর বিরুদ্ধে ভোট কাটার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। রায়ের মহল তালতলা প্রাইমারি স্কুল কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে মূল প্রার্থীর সমর্থকদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

স্থানীয় ভোটার আবুল কাসেম বেপারী বলেন, তিনি সকালে ভোট দিলেও তার এক ছেলে ও ছেলের বউ কেন্দ্রে গিয়েও ভোট দিতে পারেনি।

বিজ্ঞাপন

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মোট ২৮৯টি কেন্দ্রের মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ২৩৪টি কেন্দ্রকে ঝুকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে। মূলত সেসব ঝুকিপূর্ণ কেন্দ্রেই ভোট ডাকাতির খবর আসতে থাকে দুপুরের পর থেকে।

সারাবাংলা/এমএস/এমআই

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন