বিজ্ঞাপন

সাতকানিয়ায় ইফতার সামগ্রী নিতে গিয়ে ৯ নারীর মৃত্যু

May 14, 2018 | 1:41 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ইফতার সামগ্রী নিতে গিয়ে গরমে অসুস্থ হয়ে ৯ নারী মারা গেছেন। তীব্র গরম আর শ্বাসকষ্টে প্রথমে ঘটনাস্থলে ৯ জন  মারা যান বলে নিশ্চিত করে পুলিশ।

সোমবার (১৪ মে) সকালে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে বলে জানান চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( দক্ষিণ) এমরান ভূঁইয়া।

নিহত ৯ জনের মধ্যে ছয়জনের পরিচয় পাওয়া গিয়েছে। এরা হলেন সাতকানিয়া উপজেলার হাসিনা আক্তার (৩০), নূর আয়েশা (৫০) ও রিনা বেগম (২০), লোহাগাড়া উপজেলার কুন্তুনী বেগম (১৩) ও জ্যোৎস্না বেগম (২৫) এবং বান্দরবান জেলা থেকে আসা রশিদা আক্তার (৫৪)।

বিজ্ঞাপন

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, সাতকানিয়ার নলুয়া ইউনিয়নের ঘাটিয়াডাঙ্গা গ্রামে কবীর স্টিল অ্যান্ড রি রোলিং মিলস লিমিটেড (কেএসআরএম) এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান প্রতিবছরের মতো এবারও রোজার আগে ইফতার সামগ্রী বিতরণের ব্যবস্থা করেন। ১০ হাজার দুস্থের  জন্য এই ব্যবস্থা রাখা হয়। কিন্তু সেখানে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ জড়ো হন। চট্টগ্রাম ছাড়াও কক্সবাজার,বান্দরবানসহ দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ যান ঘাটিয়াডাঙ্গা গ্রামে।

এদিকে ঘটনাস্থলে থাকা চট্টগ্রাম পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা জানান, অতিরিক্ত মানুষের ভীড়ে হিট স্ট্রোক ও শ্বাসকষ্টে অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকেই। এসময় ঘটনাস্থলেই মারা যান ৯ নারী। তাদের বয়স ৫০ এর কাছাকাছি বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা। তবে তাৎক্ষনিকভাবে তাদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

বিজ্ঞাপন

এই দুর্ঘটনায় কেএসআরএম কতৃপক্ষের কোন ধরনের গাফলতি আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর) মুহাম্মদ রেজাউল মাসুদ। এছাড়া একটি অপমৃত্যুর মামলাও করবে পুলিশ।

তিনি সারাবাংলাকে বলেন, ইফতার সামগ্রী নিতে রোববার রাত থেকেই চট্টগ্রামসহ দুর দুরান্তের জেলা থেকে ঘাটিয়াডাঙ্গা গ্রামের হাঙ্গরমুখ মাদ্রাসা মাঠে ভীড় করতে থাকেন গরীব ও ভিক্ষুকরা। তবে দুস্থ ও বিধবা নারীর সংখ্যা ছিল বেশি। সকাল ১০ টা নাগাদ হুট করেই ভিড় ও হুড়োহুড়ি বেড়ে যায়। এসময়ই অতিরিক্ত ভিড় আর চাপাচাপিতেই মুলত ৯ জন বয়স্ক নারীর প্রাণ যায়।

লাশগুলো ময়না তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন
এদিকে, ইফতার সামগ্রী নিতে গিয়ে ৯ নারীর মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ইফতার নিতে আসা লোকজন এবং স্থানীয়দের অভিযোগ, সুশৃঙ্খলভাবে ইফতার সামগ্রী বিতরণের জন্য আগে থেকে কোন প্রস্তুতি ছিল না কেএসআরএম’র। স্থানীয় প্রশাসনকেও জানানো হয়নি।
এর আগে ২০০৯ সালে একই স্থানে কেএসআরএম’র ইফতার সামগ্রী বিতরণের সময় পদদলিত হয়ে ৬ জনের প্রাণ যায়।
 সারাবাংলা/আরডি/জেডএফ

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন