বিজ্ঞাপন

আবারও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন

March 19, 2018 | 10:09 am

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

বিজ্ঞাপন

আবারও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন। রোববার নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগোরিষ্ঠতা পাওয়ায় আরও ছয় বছরের জন্য তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করবেন। এনিয়ে পুতিন চারবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হলেন।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়ছেন, প্রেসিডেন্ট পুতিন ৭৬ শতাংশরেও বেশি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। পুতিনের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কমিউনিস্ট মিলিওনিয়ার পাভেল গ্রাদিনিন মাত্র ১২ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।

নির্বাচনে অংশ নেন সাবেক টিভি উপস্থাপক কেসেনিয়া সবশেক। তিনি ২ শতাংশেরও কম ভোট পেয়েছেন। দেশটির ঝনু জাতিয়তাবাদী নেতা ভ্লাদিমির জিরিনোভোস্কি পান প্রায় ৬ শতাংশ ভোট।

বিজ্ঞাপন

 তবে পুতিনের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যালেক্সি নাভালনিকে এই নির্বাচনে অংশ নিতে দেওয়া হয়নি।

ফলাপ্রকাশের পর পুতিন এক সমাবেশে বলেন, গত কয়েক বছর তার প্রশাসানের অর্জনের সঠিক প্রতিদান দিয়েছেন ভোটাররা। এসময় হেসে হেসে তিনি বলেন, আপনারা কী মনে করেন আমি এক শ বছর ক্ষমতায় থাকব? না ! তাতো আর হয় না।

২০১২ সালে পুতিন যে ব্যাবধানে জয়ী হয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন, এবার তার চেয়ে ব্যাবধানটা বেড়েছে। ২০১২ সালের নির্বাচনে ৬৪ শতাংশ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন ভ্লাদিমির পুতিন

বিজ্ঞাপন

পুতিনের এই বিজয়কে  ‘অবিশ্বাস্য বিজয়’ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে পুতিনের প্রচারণা শিবির।

প্রচারণা শিবিরের একজন মুখোপাত্র সংবাদমাধ্যম ইন্টারফ্যাক্সকে বলেন, আমরা যে ব্যাবধানে জিতেছি তা পুতিনের পক্ষে কথা বলে। জনগণের এই সমর্থনের কথা মাথায় রেখেই পুতিনকে আগামী দিনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে, এবং এই সমর্থকদের জন্য প্রেসিডেন্টের অনেক কিছু করার রয়েছে।

নির্বাচনের সময় কিছু এলাকায় ভোটারদের বিনামূলে খাবার দেওয়া হয়েছে এবং স্থানীয় কিছু দোকানের খাবার বিনামূলে বিতরণ করা হয়েছে।

কারচুপির অভিযোগ

বিজ্ঞাপন

রাশিয়ার নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। নির্বাচনে অনিয়মের কিছু ছবির ভিড়িও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা হয়েছে। সেখানে দেখা যায় কোনো কোনো শহরে নির্বাচনী কর্মকর্তারা ব্যালট বাক্সে ব্যালট পেপার রাখছেন। স্বাধীন নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল নির্বাচনে কারচুপির বেশ কয়েকটি অভিযোগ পেয়েছেন।

তাদের অভিযোগ- নির্বাচন শুরুর আগেই কিছু কিছু ব্যালট বাক্সে ভোটিং পেপার পাওয়া গেছে, নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের কোন কোন ভোটকেন্দ্রে যেতে দেওয়া হয়নি, কয়েকজনকে ভোট দিতে বাধ্য করা হয়েছে এবং ভোটকেন্দ্রে বেলুন ও অন্যা জিনিস ব্যবহার করে ওয়েবক্যাম্পসে সমস্যা সৃষ্টি করা হয়েছে।

এমনকি নির্বাচন কমিশন যে লাইভ ডিডিও দেখিয়েছে সেখানেও অনিয়মের কিছু বিষয় ধরা পড়েছে।  নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্রকাশ্যে ভোট দিতে দেখা গেছে।

ইন ডাগেসটান নামে একজন নির্বাচন কর্মকর্তা জানান, নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের সময় তার কেন্দ্রে ব্যালট বাক্স আটকে দেওয়া হয়েছিল, পরে তিনি বক্সগুলো উদ্ধার করেন।

তবে কেন্দ্রীয় প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইল্লা পামফিলোভা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, উল্লেখ করার মতো কোন অনিয়ম বা সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি। আমরা সবসময় নির্বাচন মনিটর করেছি। সবকিছু ঠিক ছিল।  ঈশ্বরকে ধন্যবাদ।

সারাবাংলা/আইএ

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন