December 14, 2018 | 1:34 pm
এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট ।।
সাপ নিয়ে আদিত্য আবিদের লেখা ছোট একটা ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে গল্পের শুরু। যাতে লেখা ‘একটা সাপের খোঁজ পেয়েছি। সাপটা ফনা তুলছে। সাপের খেলা দেখতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাচ্ছি।’ স্ত্রী সাকিরা স্বামী আদিত্যকে ঘটনাটা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। আদিত্যকে সাকিরাকে বলে; সে ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে এমন একজনের সন্ধান পেয়েছে যে কিছুদিন হলো একটা স্কুল কমিটির চেয়ারম্যান হয়েছে এবং স্কুলে জাতীয় সংগীত গাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।
আদিত্য আবিদ একজন টিভি নাটক নির্মাতা। সাকিরা তার স্ত্রী এবং সহকারী পরিচালক। আদিত্য আর সাকিরা মিলে ব্রহ্মণবাড়িয়া যায় এবং সেই লোক যার নাম আলি বাসার, তার সব ঘটনা উদঘাটন করে নিয়ে আসে।
একাত্তরে আলি বাসার স্বাধীনতার বিরোধীতা করেছিল। তার নিজের গড়া একটা রাজাকার বাহিনী দিয়ে সে এলাকায় অনেক অত্যাচার অনাচার করেছে সে সময়। সেসব অত্যাচার অনাচারের প্রত্যক্ষ সাক্ষী টগর, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় গান করতো সো। মুক্তিযোদ্ধাদের মনোবল বাড়িয়ে দিত তার গান। আলি বাসার টগরকে ধরে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করে।
সেই দিনগুলোর কথা আদিত্য আর সাকিরা বিভিন্ন জনের কাছ থেকে গল্পের মতো করে লিখে নিয়ে আসে। তারা আলি বাসারের সঙ্গেও কথা বলে। আদিত্য সাকিরা ফিরে এসে নাটক লেখে, স্যুট করে। এর প্রযোজনা করে তাদের নিয়মিত প্রযোজক আলি আযম।
ষোলই ডিসেম্বর উপলক্ষ্যে নাটকটা প্রচার হবে সব ঠিকঠাক। কিন্তু আলি আযম নাটকটা নিয়ে চ্যানেলে জমা দেয় না। আলি আযম বলে নাটকটা এবছর প্রচার হবে না। আদিত্য সত্যিই এক রহস্যের মধ্যে পড়ে যায়। একসময় সে উদ্ধার করে আলি আযম, কেন এই নাটক প্রচার হতে দিতে চায় না।
নাজমুল হুদা শাপলার পরিচালনায় নাটকটি রচনা করেছেন মাসুম রেজা। নাটকে অভিনয় করেছেন জাহিদ হাসান, উর্মিলা শ্রাবন্তী কর, শতাব্দি ওয়াদুদ, মাহমুদুল ইসলাম মিঠু, আহসানুলহক মিনুসহ অনেকে। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে রাত ৯ টায় নাটকটি প্রচার হবে নাগরিক টেলিভিশনে।
সারাবাংলা/পিএ