বিজ্ঞাপন

‘শেষ ধাপটার খুব কাছাকাছি চলে এসেছি’

September 10, 2018 | 12:24 pm

এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

‘কেউ সময়কে ধরে রাখতে পারেনা। সময় নিজের মতো চলে। আমার জীবন থেকে একের পর এক সময় চলে যাচ্ছে। জীবনের তিনটি ধাপের মধ্যে দু’টি ধাপ পার করে ফেলেছি। এখন বাকি এক ধাপ। শেষ ধাপটারও খুব কাছাকাছি চলে এসেছি। তবে আমি এ জীবনে মানুষের অনেক ভালোবাসা পেয়েছি। সিনেমায় খল চরিত্রে অভিনয় করার পরও মানুষ আমাকে ভালোবাসে। মানুষের এই ভালোবাসাই আমার জীবনের সবথেকে বড় পাওয়া।’

নিজের ৭৭তম জন্মদিনে এভাবেই সারাবাংলার কাছে জন্মদিনের অনুভূতি ব্যক্ত করেন খ্যাতিমান অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান। বাংলা চলচ্চিত্রে তার মতো ক্ষুরধার প্রতিভা নিয়ে খুব কম অভিনেতাই এসেছেন। তিনি চলচ্চিত্রে অভিনয় করার পাশাপাশি অসংখ্য সিনেমার চিত্রনাট্যও লিখেছেন। অল্প-বিস্তর পরিচালনাও করেছেন।

এটিএম শামসুজ্জামান ১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর দৌলতপুরে নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। গ্রামের বাড়ি লক্ষীপুর জেলার ভোলাকোটের বড় বাড়ি আর ঢাকায় থাকতেন দেবেন্দ্রনাথ দাস লেনে। পড়াশোনা করেছেন ঢাকার পগোজ স্কুল, কলেজিয়েট স্কুল, রাজশাহীর লোকনাথ হাই স্কুলে।

চলচ্চিত্রের এই নক্ষত্রসময় মানুষ সিনেমায় আসেন ১৯৬১ সালে। তবে অভিনেতা হিসেবে নয়। পরিচালক উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ ছবিতে সহকারি পরিচালক হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করে তিনি। এরপর নারায়ণ ঘোষ মিতা পরিচালিত ‘জলছবি’ সিনেমার জন্য প্রথম কাহিনী ও চিত্রনাট্য লেখেন।

বিজ্ঞাপন

অভিনেতা হিসেবে তার পর্দায় আগমন ঘটে ১৯৬৫ সালে। ১৯৭৬ সালে চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেনের ‘নয়নমণি’ চলচ্চিত্রে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে আলোচনা আসেন তিনি। ১৯৮৭ সালে কাজী হায়াত পরিচালিত ‘দায়ী কে’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। এ পর্যন্ত তিনি পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। এছাড়া বাংলা চলচ্চিত্রে অসামান্য অবদানের জন্য ২০১৫ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন।

বর্তমানে এটিএম শাসুজ্জামান চলচ্চিত্রে কম অভিনয় করছেন। তবে টেলিভিশন নাটকে মাঝে মাঝে তাকে দেখা যায়। বরেণ্য এই অভিনেতার জন্মদিনে সারাবাংলার শুভেচ্ছা।

সারাবাংলা/আরএসও/পিএম

বিজ্ঞাপন

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন