বিজ্ঞাপন

শেওয়াগ-আফ্রিদিদের আতঙ্ক ছিলেন যারা

October 1, 2018 | 3:36 pm

।। স্পোর্টস ডেস্ক ।।

বিজ্ঞাপন

খেলোয়াড়ী জীবনে ভারতের ওপেনার বীরেন্দ্রর শেওয়াগ আর পাকিস্তানের শহিদ আফ্রিদিকে বল করতেই ঘাম ছুটে যেত বিশ্বসেরা বোলারদের। ব্যাট হাতে তারা দুজনই ছিলেন বোলারদের জন্য আতঙ্ক। তবে, নিজেরাও যে অন্য খেলোয়াড়দের ভয় পেতেন সেটি জানালেন শেওয়াগ-আফ্রিদি।

শেওয়াগের জন্য আতঙ্ক ছিলেন পাকিস্তানের গতিদানব শোয়েব আখতার। আর আফ্রিদির জন্য মূর্তিমান আতঙ্ক ছড়াতেন শেওয়াগ। ভারতীয় জনপ্রিয় এক সংবাদমাধ্যমের সামনে শেওয়াগ-আফ্রিদি দুজনই এমনটি স্বীকার করেছেন।

ভারতের সাবেক ওপেনার শেওয়াগ জানান, সত্যি বলতে আমি কোনো বোলারকে ভয় পেতাম না। কিন্তু, নামটি যদি হয় পাকিস্তানের পেসার শোয়েব আখতার, আমি অন্যভাবে তাকে পরিচয় করিয়ে দেব। ব্যাট হাতে তার সামনে দাঁড়ানোটা বেশ কঠিন ছিল। আমি তাকে ভয়ই পেতাম। আমার দেখা সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বোলার সে। আমার জন্য তার মুখোমুখি হওয়া ভয়ঙ্কর ব্যাপার ছিল। আপনি জানবেনই না কখন সে আপনার বুটের দিকে তাক করে বল ছুঁড়বে আবার কখন সে আপনার মাথা বরাবর বল ছুঁড়বে। আমি তাকে ভয় পেলেও প্রায়ই সাহস করে তার বল মারতাম।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, আফ্রিদি জানান, ব্যাট হাতে আমি কোনো বোলারকে ভয় পেতাম না। তবে, শেওয়াগকে ভীষণ ভয় করতাম। তার বিপক্ষে বল করাটাও ভয়ের ছিল। আমি বল হাতে কেবল তার মুখোমুখি হতেই ভয় পেতাম। সত্যিই তাকে বল করাটা বেশ কষ্টসাধ্য ছিল।

শেওয়াগ-আফ্রিদি দুজনই জানিয়েছেন ক্রিকেট ক্যারিয়ারের স্মরণীয় মুহূর্ত। শেওয়াগ এ ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে জানান, আমার কাছে মনে হয় ২০০৭ এবং ২০১১ সালটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আমরা তরুণ একটি দল ছিলাম। কেউ বিশ্বাস করেনি যে আমরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হবো। দক্ষিণ আফ্রিকায় আমরাই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম। আর ২০১১ সালে নিজেদের মাটিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতা আমার জন্য সবচেয়ে সুখের মুহূর্ত। ভারতের আগে আর কোনো আয়োজক দেশ সেটা করে দেখাতে পারেনি।

আফ্রিদি নিজের ক্যারিয়ারের সেরা মুহূর্তের কথা জানাতে গিয়ে বলেন, আমার কাছে ২০০৯ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার মুহূর্তটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে। কারণ সেবার আমাদের অনেক বন্ধুর পথ পাড়ি দিয়ে ফাইনালে উঠতে হয়েছিল। ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে শিরোপা জেতায় আমাদের পরবর্তী টিম স্পিরিট অনেকগুণে বেড়ে গিয়েছিল।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ২০০৯ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে আগে ব্যাট করে শ্রীলঙ্কা ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে তোলে ১৩৮ রান। ৫২ বলে অপরাজিত ৬৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন কুমার সাঙ্গাকারা। পাকিস্তানের অলরাউন্ডার আবদুল রাজ্জাক ৩ ওভারে ২০ রান দিয়ে নিয়েছিলেন তিন উইকেট। জবাবে, ১৮.৪ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় পাকিস্তান। ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন ৪০ বলে অপরাজিত ৫৪ রান করা শহিদ আফ্রিদি। শ্রীলঙ্কার সনাথ জয়সূরিয়া ২ ওভারে ৮ রান দিয়ে একটি উইকেট পেয়েছিলেন।

সারাবাংলা/এমআরপি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন