বিজ্ঞাপন

জিএসপি বন্ধ হওয়াটা ম্যাটার করে না: বাণিজ্যমন্ত্রী

February 12, 2019 | 6:47 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে যেসব বাংলাদেশি পণ্যে জিএসপি সুবিধা ছিল, তাতে জিএসপি সুবিধা বন্ধ হওয়ায় খুব একটা ‘ম্যাটার করে না’ বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

জিএসপি সুবিধা বন্ধের পর অনেক চেষ্টা করেও সেই সুবিধা পুনঃবহাল করা সম্ভব হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা তাদের ১৬টি শর্ত পূরণ করেছি, বা বাকি থাকলে সেটা করব। কিন্তু তাতেও জিএসপি সুবিধা ফেরত পাব কি না, সেটা জানতে চেয়েছি। তবে যেসব পণ্যে জিএসপি সুবিধা পেতাম, তাতে জিএসপি বন্ধ হওয়ায় খুব একটা ম্যাটার করে না।

মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে একাদশ জাতীয় সংসদ অধিবেশনে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নান ও বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের এ সংক্রান্ত পৃথক দুই সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, জিএসপি’র কথা বলা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে যা রফতানি হয়, তার ৯০ ভাগই হচ্ছে তৈরি পোশাক। তৈরি পোশাকের ক্ষেত্রে জিএসপি’র কোনো প্রভাব পড়ছে না। প্রভাব পড়ছে অন্য কিছু আইটেমের ওপর, যেটা খুব বেশি একটা ম্যাটার করে না।

টিপু মুনশি বলেন, তারা ১৬টি শর্ত দিয়ে জিএসপি বন্ধ করেছিল। আমার পূর্বসূরী তোফায়েল সাহেব (সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ) অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে সেগুলো পূরণের চেষ্টা করেছেন। আমিও গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের হাইকমিশনারের সাথে কথা বলেছি, আবারও সেই প্রশ্ন তুলেছি আমরা— ১৬টি শর্ত পূরণ করেছি বা যেগুলো বাকি আছে সেট তো আমরা করব; কিন্তু তারপর সিদ্ধান্তটা কী আসবে? আমি জানতে চেয়েছি, প্রকৃতপক্ষে বিষয়টি রাজনৈতিক কি না।

মন্ত্রী বলেন, তারা প্রশ্ন তুলেছে শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে। আমাদের সংসদে আইন আছে, সেটা পাসও হয়ে যাবে। আমি বিশ্বাস করি, আশা করি, জিএসপি’র বিষয়টি আমরা সর্ট আউট করতে পারব। টিকফা নিয়েও আলোচনা চলছে।

বিজ্ঞাপন

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রফতানি পণ্যের চিত্র তুলে ধরে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে আমরা প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি করি। আর ওদের ওখান থেকে আসে ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। আমরা অনেক বেশি রফতানি করি। কাজেই ওদেরও অনেক কথা রয়েছে।

‘যুক্তরাষ্ট্র ট্যাক্স নিচ্ছে, কথাটি সত্য। যদি শুল্কমুক্ত সুবিধা পেতাম, তাহলে ভালো হতো। কিন্তু তারা তো দিচ্ছে না, চেষ্টা করছি। আমেরিকা সবচেয়ে বড় অর্থনীতির একটি দেশ, তাদের অর্থনীতি আমারাও কিছু টাকায়-পয়সা দেই। কাজেই তাদের অর্থনীতিতে আমাদেরও অবদান আছে। কাজেই আগামীতে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করি,’— বলেন টিপু মুনশি।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর

বিজ্ঞাপন

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন