বিজ্ঞাপন

সাগর-রুনি-তনুর মতো নুসরাতের মামলাটি যেন হারিয়ে না যায়: হাইকোর্ট

April 11, 2019 | 3:21 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ফেনীর সোনাগাজীর দগ্ধ মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যার ঘটনা তদন্তের বিষয়টি খেয়াল রাখবেন বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট। এ ঘটনা তদন্তে গাফিলতি হলে প্রয়োজনে হাইকোর্ট হস্তক্ষেপ করবেন জানিয়ে বিচারক বলেন, ‘কোনোভাবেই যেন সাগর-রুনি, মিতু ও তনুর মতো এই মামলাটি যেন হারিয়ে না যায়।’  বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) নুসরাত হত্যার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চে এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

আদালতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে আবেদন করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়্যেদুল হক সুমন।

পরে এই আইনজীবী সারাবাংলাকে বলেন, ‘নুসরাত হত্যার বিষয়টি একটা হৃদয় বিদারক ঘটনা। সকাল বেলা বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করি খবরের কাগজগুলো নিয়ে।’ 

এই আইনজীবী আরও বলেন, ‘আমি আদালতে বলার চেষ্টা করেছি, এই মেয়েটাই যে আগুনে পুড়েছে তা না, পুরো বাংলাদেশের মানুষ এই কয়দিন, যতদিন সে ঢাকা মেডিকেলে ছিল মনে হয়েছে আমরা সবাই পোড়ার কষ্ট পাচ্ছি। এটা স্বাভাবিক না। সে যতদিন কষ্ট পেয়েছে, আমরাও সে কষ্টটা অনুভব করেছি। সে হয়তো মরে গিয়ে বেঁচে গেছে। কিন্তু আমাদের তো রেখে গেছে।’ 

বিজ্ঞাপন

এ ঘটনাটায় দায়ের করা মামলা একজন উপ-পরিদর্শককে (এসআইকে) তদন্তের ভার না দিয়ে এর একটি বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ চান বলে জানান সৈয়দ সায়্যেদুল হক সুমন। তিনি বলেন, ‘মনে হচ্ছে এই ঘটনায় বড় বড় দলের নেতারা থাকতে পারেন। রিলিজিয়াস সেনসিটিভিটি অর্থাৎ ধর্মীয় অনুভূতির ব্যাপার থাকতে পারে। পুরো দেশের মানুষ বসে আছে এ ঘটনার একটা পরিপূর্ণ একটি তদন্ত দেখার জন্য।’

ব্যারিস্টার সুমন জানান, আইনজীবীদের উদ্দেশে বিচারপতি  বলেছেন, ‘আমরা যতটুকু জানি, এ ঘটনা পিবিআইকে ট্রান্সফার করা হয়েছে তদন্তের জন্য।  প্রধানমন্ত্রী নিজে এটি তদারকি করছেন।  কোনোভাবেই যেন সাগর-রুনি, মিতু ও তনুর মতো এই মামলাটি হারিয়ে না যায়। কোনো কারণে যদি তদন্তের কোথাও মনে হয় গাফিলতি আছে, আপনারা চলে আসবেন আমরা হস্তক্ষেপ করব।’

এই ঘটনার পেছনে রাজনৈতিক প্রভাব বা ব্যক্তিরা থাকতে পারে এটি কেন মনে হয়েছে জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের এ আইনজীবী বলেন, ‘খেয়াল করে দেখবেন, ঘটনার পরের দিন অধ্যক্ষ গ্রেফতার হওয়ার পর মিছিল হলো। মিছিলে বিভিন্ন দলের লোকজনের সমাগম হয়েছে। আমার মনে হয়েছে ব্যাপারটাতে অনেকের ইনভলবমেন্ট থাকতে পারে। কারণ এখানে একটা ইনসাইটমেন্টের (উসকানি) ব্যপার আছে। স্বাভাবিক ইনসাইটমেন্ট একজন এসআইয়ের পক্ষে বোঝা সম্ভব নাও হতে পারে।’

বিজ্ঞাপন

গত ৬ এপ্রিল ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি পরীক্ষা দিতে গেলে দুর্বৃত্তরা তার গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। এ ঘটনার পর বুধবার (১০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢামেকের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নুসরাতের মৃত্যু হয়।

সারাবাংলা/এজেডকে/এসএমএন/এমএনএইচ

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন