বিজ্ঞাপন

কালো টাকা: বিনিয়োগ বেশি হলে কর কমানোর প্রস্তাব বাণিজ্যমন্ত্রীর

June 27, 2019 | 5:22 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ১০ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ রাখা হলেও বিনিয়োগের পরিমাণের ওপর ভিত্তি করে করের পরিমাণ নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, বিনিয়োগের মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করার ক্ষেত্রে আমার সাজেশন— ইপিজেডগুলোতে বেশি টাকা বিনিয়োগ করে বেশি কর্মসসংস্থান তৈরি করতে পারলে আরও কম ট্যাক্সে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া যেতে পারে।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) উদ্যোগে প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট পর্যালোচনা শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, সংগঠনের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হকসহ অন্যরা। এছাড়াও সভায় বিভিন্ন জেলা চেম্বারের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।

বিজ্ঞাপন

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, কালো টাকা নিয়ে আমার একটা সাজেশন আছে। সেটা হলো— বিনিয়োগের জন্য ১০ শতাংশ কর দিয়ে অর্থনৈতিক জোনগুলোতে বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এই সুযোগ আরও প্রসারিত হতে পারে। যে কোম্পানি একশ জন কর্মীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে আর যে কোম্পানি ৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থান করেছে, দু’জনের করের হার এক হওয়া উচিত না।

মন্ত্রী প্রস্তাব রেখে বলেন, আমার মতে, যে প্রতিষ্ঠান বেশি লোকের কর্মসংস্থান করেছে তার ক্ষেত্রে করের হার আরও কমানো যেতে পারে। কারণ যিনি বেশি মানুষের কর্মসংস্থান করছেন, আর যিনি কম লোকের কর্মসংস্থান করছেন, তাদের দু’জনের জন্য সুযোগ এক হতে পারে না।

টিপু মুনশি বলেন, সবসময় শুনি, কালো টাকা সাদা করা হয়েছে। আসলে আমরা এই টাকাকে কালো না বলে বলি অপ্রদর্শিত টাকাকে করের আওতায় নিয়ে আসা। অর্থাৎ যে টাকা এখনো দেখানো হয়নি, সেই অপ্রদর্শিত টাকাকে বিনিয়োগের একটা সুযোগ দেওয়া। কালো কথাটা সবসময় ভালো লাগে না।  তাই এটাকে কালো টাকা না বলে অপ্রদর্শিত টাকা বলি।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, আমরা চাই দেশের টাকা যেন দেশের বাইরে না যায়।  যেভাবেই হোক টাকা দেশে থাকুক। এই সুযোগ দেওয়ার পর যতটুকু টাকা বিনিয়োগ হবে, ততটুকুই লাভ। কম কর দিয়ে হলেও যদি কিছু টাকা মূল স্রোতে আসে, তাও ভালো।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ব্যবসায়ীদের যেন কোনো ধরনের হয়রানির শিকার হতে না হয়, আমাদের সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পোশাক খাতে প্রণোদনার ওপর কর আরোপ করা হলে ঠিক হবে না। এটা হবে দাওয়াত দিয়ে কাটা চামচ দিয়ে স্যুপ খেতে দেওয়ার মতো।

আয়কর অফিসের জনবলের কারণে যেন ব্যবসায়ীদের হয়রানির শিকার হতে না হয়, সেদিকেও নজর দিতে হবে।

সারাবাংলা/জিএস/টিআর

বিজ্ঞাপন

Tags: , , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন