বিজ্ঞাপন

নোমানের আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন মামলা: ফের জেরা করা হবে সাক্ষীদের

July 15, 2019 | 3:30 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মৎস্য ও পশুসম্পদমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমানের বিরুদ্ধে আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলা রায় থেকে উত্তোলন করে সাক্ষীদের জেরা করার জন্য আগামী ১ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১৫ জুলাই) দুপুরে ঢাকার বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক সৈয়দ কামাল হোসেন এ আদেশ দেন।

এদিন মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিলো। কিন্তু আসামি পক্ষের আইনজীবী মো. তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ ও বোরহানউদ্দিন আদালতকে জানান, এ মামলার গুরুত্বপূর্ণ কিছু সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ/জেরা বাকি রয়েছে। সেই সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া এ মামলার জন্য অন্তত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ বিষয়ে উচ্চ আদালতের একটি আদেশ রয়েছে। তাই রায় থেকে উত্তোলন করে সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা করার জন্য প্রার্থনা জানান।

এসময় আদালতে আবদুল্লাহ আল নোমান উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

আসামি পক্ষের আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘মামলাটি আজ রায়ের জন্য ছিলো। কিন্তু এ মামলার PW- 2 থেকে PW- 5 পর্যন্ত থেকে সাক্ষীদের জেরা করার বাকি আছে। সেই বিষয়ে উচ্চ আদালতে গেলে জেরার করার অনুমতি পাই। সেই আদেশ আজ দাখিল করি। এর ওপরেও নিম্ন আদালত আজকে একটি আদেশ দিয়েছে। রায় থেকে উত্তোলন করে তাই পরবর্তী জেরার জন্য নতুন করে দিন ঠিক করেন বিচারক।’

এর আগে, গত ২৫ এপ্রিল, ১২ ও ৩০ জুন এবং ১৫ জুলাই মামলাটির রায়ের জন্য দিন ঠিক ছিলো। কিন্তু রায় প্রস্তুত না হওয়ায় ও পরের তারিখে আসামি শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকার কারণে সেই দু’দিন রায় ঘোষণা করা যায়নি।

মামলার অভিযোগে থেকে জানা যায়, ১৯৯৭ সালের ৭ আগস্ট জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের ওপর অনুসন্ধান চালায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এরপর নোমানের সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিলের জন্য নোটিশ জারি করা হয়।

বিজ্ঞাপন

একই বছরের ২৬ অক্টোবর আবদুল্লাহ আল নোমান নোটিশটি গ্রহণ করেন। নোটিশ পাওয়ার পর আইনুযায়ী ৪৫ দিনের মধ্যে সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল করার কথা থাকলেও তিনি তা করেননি। এমনকি তিনি সময় বৃদ্ধির জন্য কোনো আবেদনও করেননি।

এ ঘটনায় ১৯৯৮ সালের ১৯ আগস্ট রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় দুদকের কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল জাহিদ বাদী হয়ে নোমানের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। ২০০০ সালের ৩০ মে নোমানের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা। ২০০৪ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি নোমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

সারাবাংলা/এআই/এমও

বিজ্ঞাপন

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন