বিজ্ঞাপন

বকেয়া পরিশোধ না হলে চামড়া বিক্রি বন্ধের ঘোষণা ব্যবসায়ীদের

August 17, 2019 | 1:13 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ট্যানারি মালিকরা তাদের বকেয়া পরিশোধ না করা পর্যন্ত কাঁচা চামড়া বিক্রি বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট এসোসিয়েশন।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (১৭ আগস্ট) রাজধানীর পোস্তায় কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ীদের এক জরুরি সভা শেষে সংগঠনের সভাপতি হাজী দেলোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হাজী টিপু সুলতান, সহসভাপতি হাজী সেকান্দার।

তিনি বলেন, ট্যানারি মালিকদের কাছে কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ীদের প্রায় ৪০০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ট্যানারি মালিকরা এই বকেয়া টাকা পরিশোধ না করায় এবারের কোরবানিতে কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করা যায়নি। এতে কোরবানির বিপুল চামড়া নষ্ট হয়ে গেছে।

হাজী দেলোয়ার হোসেন বলেন, কাঁচা চামড়া ওয়েট ব্লু রফতানির বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমরা তার সাথে একমত। তারা যে সিদ্ধান্ত দেবে আমরা তা মেনে নেব।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, আজ (১৭ আগস্ট) থেকে সারাদেশে ট্যানারি মালিকদের কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করার কথা রয়েছে। কিন্তু আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি বকেয়া টাকা না পেলে কাঁচা চামড়া বিক্রি করবো না। তিনি বলেন, ট্যানারি মালিকরা সংবাদ সম্মেলন করে আমাদের পাওয়া টাকা নিয়ে মিথ্যাচার করেছে। আমরা তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

তিনি আরো বলেন, ২০১২ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ট্যানারি মালিকদের কাছে আমাদের পোস্তায় ব্যবসায়ীদের পাওনা ১শ কোটি টাকা এবং সারাদেশের কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ীদের বকেয়ার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪শ কোটি টাকা। এই টাকা পরিশোধ হলেই কেবল আমরা কাঁচা চামড়া বিক্রি করব। অন্যথায় আমরা চামড়া বিক্রি বন্ধ রাখবো।

তিনি বলেন, আগামীকাল (১৮ আগস্ট) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে বৈঠক হবে। বৈঠকে পাওনা টাকা পরিশোধের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি না পাওয়া পর্যন্ত সব ধরনের কাঁচা চামড়া বিক্রি বন্ধ থাকবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে কোনো সিদ্ধান্ত হলে চামড়া বিক্রির বিষয়ে পরবর্তী করণীয় জানিয়ে দেওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

এক প্রশ্নের জবাবে হাজী দেলোয়ার হোসেন বলেন, বাংলাদেশ থেকে কবে কাঁচা চামড়া রফতানি হয়েছে তা আমার জানা নেই। বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিদেশ থেকে কিছু কাঁচা চামড়া আমদানি করা হয়ে থাকে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা চামড়া কিনছি বিক্রির জন্যই। কিন্তু ট্যানারি মালিকরা আমাদের জিম্মি করে রেখেছে, আমরা এই জিম্মিদশা থেকে মুক্তি চাই। আমরা চাই ট্যানারি মালিকগুলো আমাদের বকেয়া টাকা পরিশোধ করুক। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে তারা আমাদের পাওনা টাকা পরিশোধের নিশ্চয়তা দিলে এবং কবে থেকে কিভাবে টাকা পরিশোধ করবে তার ঘোষণা দিলে আমরা চামড়া বিক্রি শুরু করবো।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মাঠ পর্যায়ে চামড়া নিয়ে যা ঘটছে তা বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরল। এই ঘটনাটি একমাত্র ঘটেছে ট্যানারি মালিকদের কারণে। তারা যদি আড়তদারদের পাওনা টাকা পরিশোধ করতো, তাহলে আমরা খরিতদারদের টাকা দিতাম চামড়া কেনার জন্য। আর এটা করা গেলে চামড়া নিয়ে এত বড় ঘটনা ঘটতো না।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ জিএস/জেএএম

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন