বিজ্ঞাপন

ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে সাংবাদিকের সাক্ষ্যগ্রহণ

September 25, 2019 | 5:28 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: সোনাগাজী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনের ধারণ করা ফেনীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির জবানবন্দির ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়ানোর মামলায় সময় টেলিভিশনের সাংবাদিক আতিয়ার হাওলাদার সজলের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২৫  সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এ সাক্ষ্য  নেন। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামি পক্ষের আইনজীবী ফারুক আহমেদ তাকে জেরা করেন। আতিয়ারের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে পরবর্তী সাক্ষীর জন্য আগামী ২ অক্টোবর সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ঠিক করেছেন আদালত।

আরও পড়ুন- ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে সাইবার ক্রাইমের প্রমাণ মিলেছে

এদিন এ মামলার বাদী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন ও একমাত্র আসামি মোয়াজ্জেম হোসেন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

গত ২৪ জুন ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে জেল কোড অনুযায়ী ডিভিশন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।গত ১৬ জুন বিকেলে হাইকোর্ট এলাকা থেকে আটক হওয়ার পর ওসি মোয়াজ্জেম শাহবাগ থানা পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। এরপর ১৭ জুন সাবেক ওসি মোয়াজ্জেমের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারিক আদালত।

সোনাগাজীর মাদরাসা শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফি থানায় অভিযোগ দিতে আসার পর তাকে আপত্তিকর প্রশ্ন করা ও ভিডিও ধারণ করে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে।

গত ১৫ এপ্রিল মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে মামলার আবেদন করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। এই আবেদন গ্রহণ করে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, গত ২৭ মার্চ নুসরাত জাহান রাফিকে নিজ রুমে ডেকে নিয়ে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে আটক করে পুলিশ। ওই ঘটনার পর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন। কারাগারে থেকেই নুসরাতের পরিবারকে মামলা তুলে নিতে চাপ দিতে থাকেন সিরাজ। তবে মামলা তুলে না নিলে নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন অধ্যক্ষের সহযোগীরা। গত ১০ এপ্রিলের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় নুসরাতের।

সারাবাংলা/এআই/টিআর

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন