বিজ্ঞাপন

ফের সিলগালা বিজিএমইএ ভবন, ঠিকাদারের পরিদর্শন বুধবার

November 5, 2019 | 10:31 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: শেষবারের মতো মালামাল সরানো শেষে বিজিএমইএ ভবন সিলগালা করে দিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। ভবনটি ভাঙার দায়িত্ব পাওয়া ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান বলছে, তারা নতুন করে ভবনটি পরিদর্শন করে হিসাব করবে, ভবন ভাঙার পর মালামাল বিক্রি করে দরপত্রে উল্লেখ করা টাকা উঠিয়ে আনতে পারবে কি না। পরিদর্শন শেষে তারা রাজউকের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসবে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বিজিএমইএ’র মালামাল সরিয়ে নেওয়া শেষে হাতিরঝিলের ক্যানসার হিসেবে পরিচিত ভবনটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।

এদিন রাতে ভবনটি ভাঙার কাজ পাওয়া প্রতিষ্ঠান ফোর স্টার এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার নছরুল্লাহ খান সারাবাংলাকে বলেন, আমরা আগামীকাল (বুধবার, ৬ নভেম্বর) ভবনটি পরিদর্শন করব। পরে আমরা রাজউকের সঙ্গে কথা বলব। গণমাধ্যমের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে কথা বলার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন- বিজিএমইএ ভবনের মালামাল সরানোয় ‘আপত্তি’ ঠিকাদারের

বিজ্ঞাপন

এর আগে, গত ২১ অক্টোবর রাজউক জানায়, বিজিএমই ভবন ভাঙার কাজ পরবর্তী সপ্তাহে শুরু হবে। সে অনুযায়ী ভবনে থাকা মালামাল সরিয়ে নিতে শেষবারের মতো সময় দেওয়া হয় বিজিএমইকে। তবে ওই এক সপ্তাহের মধ্যে মালামাল সরিয়ে নিতে না পারায় ফের আবেদন করে বিজিএমইএ। সে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত সময় পায় তারা।

এদিকে, ভবনটি থেকে বিজিএমইএ মালামাল সরিয়ে নিতে শুরু করলে এ প্রক্রিয়ায় আপত্তি জানায় ভবনটি ভাঙার দায়িত্বপ্রাপ্ত ফোর স্টার এন্টারপ্রাইজ। তাদের বক্তব্য, যে অবস্থায় ভবনটি দেখে তারা দরপত্র জমা দিয়েছিল, মালামাল সরিয়ে নেওয়ার ফলে তারা ভবনটি ভাঙার পর মালামাল বিক্রি করে সেই দরপত্রে উল্লেখ করা অর্থ তুলে আনতে পারবে না। ভবন থেকে গুরুত্বপূর্ণ মালামাল সরিয়ে নিয়ে বিজিএমইএ খোলাবাজারে বিক্রি করছে বলেও অভিযোগ করে তারা।

এ পরিস্থিতিতে ফোর স্টার এন্টারপ্রাইজ রাজউককে চিঠি দিয়ে জানায়, মালামাল সরিয়ে নেওয়ার পর তারা ভবনটি ফের পরিদর্শন করবে। এরপর তারা সন্তুষ্ট হলে আগের দরেই ভবনটি ভাঙতে শুরু করবে। অন্যাথায় তারা নতুন দর দেবে। তাতে রাজউক রাজি না হলে তারা কাজটি ছেড়ে দেবে। সে ক্ষেত্রে নতুন করে ঠিকাদার খুঁজতে হবে রাজউককে।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, গত ১৬ এপ্রিল হাতিরঝিলের বিজিএমইএ ভবন ভাঙার প্রাথমিক প্রক্রিয়া শুরু হয়। ওই সময় ভবনে থাকা মালামালা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই দিনই ভবনটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। পরে আবারও আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ভবনটিতে থেকে যাওয়া মালপত্র সরিয়ে নেওয়ার অনুমতি দেয় রাজউক।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালে একটি জাতীয় দৈনিকে বিজিএমইএ ভবন নির্মাণে রাজউকের অনুমোদন না থাকার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। পত্রিকার প্রতিবেদনটি হাইকোর্ট নজরে নিয়ে ‘ভবনটি কেন ভাঙা হবে না?— তা জানতে চেয়ে স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন। পরে ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ বিজিএমইএ ভবন ভেঙে ফেলতে রায় দেন। এরপর আপিল ও রিভিউয়ে ভবনটি ভাঙার সিদ্ধান্ত বহাল থাকলে দফায় দফায় সময় প্রার্থনা করে বিজিএমইএ।

গত বছরের ৩ এপ্রিল বিজিএমইএকে এক বছরের সময় দেন সর্বোচ্চ আদালত। আদালতের বেঁধে দেওয়া সময় শেষ হয় এ বছরের ১২ এপ্রিল। পরে ১৬ এপ্রিল বিজিএমইএ ভবন ভাঙার প্রাথমিক প্রক্রিয়া শুরু হয়।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ইএইচটি/টিআর

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন