বিজ্ঞাপন

পদ্মাসেতুর ১৯তম স্প্যান বসছে আজ, দৃশ্যমান হবে ৩ কিলোমিটার

December 18, 2019 | 8:56 am

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প পদ্মাসেতুর ১৯তম স্প্যান বসানো হবে বুধবার (১৮ ডিসেম্বর)। সেতুর স্প্যান মাওয়া কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ক্রেনে তুলে নিয়ে যাওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে ভোর থেকে। এই স্প্যানটি ২০ ও ২১ নম্বর খুঁটিতে স্থাপন করা হবে। এর মাধ্যমে পদ্মাসেতুর প্রায় তিন কিলোমিটার দৃশ্যমান হবে।

বিজ্ঞাপন

এর আগে সোমবার (১০ ডিসেম্বর) সেতু নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষকে স্প্যান বসানোর তথ্য জানায়।

সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, ১৯তম স্প্যান সেতুর একেবারে মাঝের স্প্যান। যা প্রশাসনিকভাবে মাদারীপুর জেলায় পড়েছে। ১৯তম স্প্যান বসানো হলে সেতুর দৃশ্যমান দৈর্ঘ্য হবে ২ হাজার ৮৫০ মিটার।

এছাড়া চলতি মাসে আরও একটি স্প্যান বসানো হবে বলে জানিয়েছেন সেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার লম্বা পদ্মাসেতুতে ৪১টি স্প্যান বসাতে হবে। এর মধ্যে চীন থেকে সেতু এলাকায় স্প্যান এসেছে ৩১টি। সেখান থেকে ১৮টি স্থাপন করা হয়েছে।

পদ্মাসেতুর প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সেতুর জাজিরা প্রান্তে রোডওয়ে স্ল্যাব ১০০টি বেশি বসে গেছে। প্রায় ৩ হাজার রোড ওয়ে স্ল্যাব বসানোর পর ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার লম্বা হবে পদ্মাসেতু। নির্ধারিত সময়ে পদ্মাসেতুর কাজ শেষ করতে হলে দিনে অন্তত ৮টি করে রোডওয়ে স্ল্যাব বসানোর প্রয়োজন রয়েছে।

পদ্মাসেতুর প্রকল্প পরিচালক জানান, এখন পর্যন্ত মূল সেতুর ৪২টি খুঁটির মধ্যে ৪টি খুঁটি ছাড়া বাকি সবগুলোর কাজ শেষ হয়েছে। চলতি ডিসেম্বরেই এগুলো শেষ হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

২০১৮ সালের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতুর কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। তারপর পিছিয়ে সেতুর কাজ শেষ করার জন্য সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ২০২১ সালের জুন মাস পর্যন্ত।

উল্লেখ্য, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এই নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন হয় ২০০৭ সালে। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ওই বছরের ২৮ আগস্ট ১০ হাজার ১৬১ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন করেছিল। পরে আওয়ামী লীগ সরকার এর সঙ্গে রেলপথ সংযুক্ত করে ২০১১ সালের ১১ জানুয়ারি প্রথম দফায় সেতুর ব্যয় সংশোধন করে। ২০১৫ সালে শুরু হয় নির্মাণ। তবে পদ্মাসেতু প্রকল্পের বর্তমান ব্যয় ৩৩ হাজার কোটি টাকার বেশি। মূলসেতু নির্মাণ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি। আর নদী শাসনের কাজ করছে চীনের আরেক প্রতিষ্ঠান সিনোহাইড্রো করপোরেশন। দুইপ্রান্তে টোল প্লাজা, সংযোগ সড়ক, অবকাঠামো নির্মাণ করছে দেশীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

সারাবাংলা/এসএ/পিটিএম

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন