বিজ্ঞাপন

কুয়াশার রাজ্যে রোদের ঝিলিক

December 23, 2019 | 9:18 am

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: পৌষের শীত বেশ জাপটে ধরেছিল। মৃদু শৈত্যপ্রবাহের সঙ্গে সঙ্গে ঘন কুয়াশা হিম ছড়িয়েছিল। তবে সাতসকালেই দেখা গেল, কুয়াশার বুক চিড়ে উঁকি দিয়েছে সূর্য। তাতে করে কুয়াশার দাপট যেমন কমছে, তেমনি বাড়ছে তাপমাত্রার পারদও। বলতে গেলে রাজধানীর বাতাসে উষ্ণতার আভাস সকাল থেকেই।

বিজ্ঞাপন

আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য বলছিল, রোববার (২২ ডিসেম্বর) থেকেই রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করবে। ধারাবাহিকতা থাকবে আজ সোমবারেও (২৩ ডিসেম্বর)। সে অনুমান মিথ্যা হয়নি। রোববার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঢাকার তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামেনি। আর সোমবার সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুধু তাই নয়, দুপুর পর্যন্ত তাপমাত্রা ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচেও নামছে না পূর্বাভাস অনুযায়ী।

পূর্বাভাস আরও বলছে, সকালের দিকে কুয়াশা থাকবে হালকা। সকাল সকাল সূর্যের আবির্ভাব সেই হালকা কুয়াশাকে আরও হালকা করে দিয়েছে। যদিও আকাশে মেঘের উপস্থিতিও কম নেই। আবহাওয়া অধিদফতরও বলছে, কুয়াশা সূর্যকে ঢাকতে না পারলেও মেঘেরা সেটি করতেই পারে। সে সূর্য পুরোটা সময় থাকুক না থাকুক, তাপমাত্রা যেহেতু খুব একটা কমছে না, তাই শীতে জুবুথুবু হয়ে বসে থাকার দিন অন্তত নয় আজ।

এ তো গেল ঢাকার কথা। সারাদেশের অবস্থা কী? আবহাওয়া অধিদফতর ঢাকা কার্যালয়ের আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান সারাবাংলাকে বলছেন, রোববার থেকে তাপমাত্রা বেড়েছে সারাদেশেই। রোববার সন্ধ্যার আগেই যেখানে যশোরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সেখানে সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত সময়ে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পাওয়া গেছে সীতাকুণ্ডে— ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বিজ্ঞাপন

আব্দুর রহমান আরও জানান, ঢাকার মতোই সারাদেশেই সূর্যের দেখা মিলছে আজ। কুয়াশা বলতে গেলে অনেকটাই কেটে গেছে। তবে ঢাকার মতো খানিকটা মেঘলা থাকতে পারে দেশের বিভিন্ন এলাকার আকাশই।

এদিকে, সপ্তাহের শেষদিকে হালকা বৃষ্টির যে আশঙ্কাটি, সেটি কিন্তু কাটেনি মোটেও। এমনিতে বৃষ্টি সাধারণত শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দিলেও এই বৃষ্টি ততটা দুর্ভোগ সম্ভবত আনবে না। কারণ, এই বৃষ্টিতেই কেটে যাবে ঘন কুয়াশার আস্তরণ। ফলে সূর্যটা যদি নিজের মতো করে উঁকিঝুঁকি দিতে থাকে, তখন শীতের প্রকোপ নিয়ে আর ভুগতে হবে না। অন্তত নতুন বছরে নতুন করে শৈত্যপ্রবাহ দেখা দেওয়ার আগ পর্যন্ত  পৌষ আর চোখ রাঙাতে পারছে না— এটি বলাই যায়।

পৌষের শুরুর দাপটেই বেছে বেছে যে ভারি সোয়েটার-জ্যাকেট আর লেপ-কম্বলগুলো বের করেছিলেন, সেগুলোর গতি কী হবে— অন্তত রাজধানীবাসী কি ভাবতে শুরু করবেন এখনই?

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/টিআর

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন