বিজ্ঞাপন

ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পিকে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

January 2, 2020 | 9:38 pm

সারাবাংলা ডেস্ক

জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পির কফিনে ফুল দিয়ে তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তিনি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী এসময় তার কফিনের পাশে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে ছিলেন। পরে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের নিয়ে দলের সভাপতি হিসেবে দলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী এরপর বাপ্পির পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেন ও তাদের প্রতি সমবেদনা জানান। তিনি বাপ্পির রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।

এর আগে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের পক্ষ থেকে অ্যাডভোকেট বাপ্পির কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম শামিম উজ জামান।

বিজ্ঞাপন

পরে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী ও ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়া শ্রদ্ধা জানান। এরপর একে একে সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানান জাতীয় পার্টির আইনজীবী ফখরুল ইমাম।

এর আগে, জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অ্যাডভোকেট বাপ্পির জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। মন্ত্রী, ডেপুটি স্পিকার ও সংসদ সদস্যসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা জানাজায় অংশ নেন। এসময় প্রয়াত বাপ্পির রুহের মাগফিরাত করে মোনাজাত ও দোয়া করা হয়।

অ্যাডভোকেট বাপ্পি নবম ও দশম সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন। মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রসিকিউটর ও সুপ্রিম কোর্টের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে সকাল ৮টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে গত ২৮ ডিসেম্বর তিনি এই হাসপাতালে ভর্তি হন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে পরদিন ২৯ ডিসেম্বর সকালে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষায় জানা যায়, বাপ্পি এইচ১এন১ ভাইরাসে (এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা) আক্রান্ত। তার শরীরে অক্সিজেনের মাত্রাও কম থাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নেওয়ার অবস্থা ছিল না। ১ জানুয়ারি তার শারীরিক অবস্থার খানিকটা উন্নতি হলে দেশের বাইরে নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন স্বজনরা। তবে সেই সুযোগ পেলেন না তারা। বাসস।

সারাবাংলা/টিআর

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন