বিজ্ঞাপন

জেলেদের বীমা সুবিধা দেওয়ার বিষয়টি সরকারের বিবেচনাধীন

February 17, 2020 | 7:26 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

সংসদ ভবন থেকে: ‘সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে বা কোনো দুর্যোগ বা দুর্ঘটনায় জেলেদের মৃত্যু হলে তাদের জন্য বীমা সুবিধা দেওয়ার বিষয়টি সরকারের বিবেচনাধীন। এছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগে কোনো জেলে নিহত বা আহত হলে তাদের এককালীন সহায়তা দেওয়া হয়ে থাকে। ’

বিজ্ঞাপন

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য বেগম কানিজ ফাতেমা আহমেদের প্রশ্নের লিখিত জবাবে এ তথ্য জানান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

মন্ত্রী জানান, সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে মৃত বা অক্ষম জেলেদের আর্থিক সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ২০১৯ সালে ’নিহত জেলে পরিবার বা স্থায়ীভাবে অক্ষম জেলেদের আর্থিক সহায়তা প্রদান নীতিমালা-২০১৯’ প্রণয়ন করা হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী মাছ ধরাকালীন প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন- ঝড়, সাইক্লোন, জলোচ্ছ্বাস ও বজ্রপাতের কারণে ও জলদস্যুদের হামলায় বা বাঘ, হাঙ্গর, কুমির বা হিংস্র জলজ প্রাণীর আক্রমণে নিবন্ধিত নিহত বা নিখোঁজ জেলেকে অনধিক ৫০ হাজার টাকা এককালীন আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে অথবা এসব কারণে স্থায়ীভাবে অক্ষম জেলেকে অনধিক ২৫ হাজার টাকা এককালীন আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরনের প্রশ্নের লিখিত জবাবে মন্ত্রী জানান, জেলেদের নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র দেওয়া প্রকল্পের আওতায় সর্বমোট ১৬ লাখ ২০ হাজার জেলের নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে এবং ১৪ লাখ ২০ হাজার জেলের মাঝে পরিচয়পত্র বিতরণ করা হয়েছে। জেলেদের নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র প্রদান নির্দেশিকা ২০১৯ অনুযায়ী নতুন আইডি কার্ড প্রদান প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করা হবে।

বিজ্ঞাপন

সরকারি দলের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের লিখিত জবাবে মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘মৎস্য ও প্রাণিজ পণ্যের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং মূল্য সংযোজনের মাধ্যমে আমিষের চাহিদা পূরণে সরকার উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ’ ইতোমধ্যে রুইজাতীয় মাছ উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি পাঙ্গাস, কৈ, শিং, মাগুর ও তেলাপিয়া মাছ উৎপাদনের ক্ষেত্রে এক নীরব বিপ্লব হয়েছে বলেও জানান তিনি।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/এমও

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন