বিজ্ঞাপন

‘বীমাখাতের প্রতি গ্রাহকের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে’

February 27, 2018 | 6:33 pm

 

বিজ্ঞাপন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ‘বীমার গুরুত্ব ক্ষেত্র বিশেষে ব্যাংকের চেয়েও অনেক বেশি। পৃথিবীর অনেক দেশে ব্যাংকের পরিবর্তে বীমার গ্যারান্টি চাওয়া হয়। তার মানে হল সেখানে ব্যাংকের চেয়ে বীমাকে প্রধান্য দেওয়া হয়। তবে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তা ব্যতিক্রম। কারণ আমরা জনগণকে এখনো বীমার প্রতি আস্থা আনতে পারেনি। তাই বীমার প্রতি গ্রাহকের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে।’

বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)-এর চেয়ারম্যান মো. শফিকুর রহমান পাটোয়ারী গোলটেবিল বৈটকে এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন (বিআইএ) কার্যালয়ে মঙ্গলবার আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনটির সভাপতি শেখ কবির হোসেন।

বিজ্ঞাপন

আইডিআরএ-এর চেয়ারম্যান বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের জিডিপিতে বীমার অবদান দশমিক ৬৭ শতাংশ মাত্র। অথচ ভারতে ৪ শতাংশ। এই খাতের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হলে অর্থনীতিতে অনেক বড় অবদান রাখা যাবে। বর্তমান প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৭। বীমার সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারলে প্রবৃদ্ধি ৮ ছাড়িয়ে যাবে।’

তিনি বলেন, ‘বীমা খাতের ইমেজ সংকট কীভাবে দূর করা যায় সেটা নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে।’

শফিকুর ইসলাম পাটোয়ারী বলেন, ‘বীমা খাতের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল, অনৈতিক প্রতিযোগিতা বন্ধ করতে চাই এবং আমরা এটা করব। বীমা যে একটা মহৎ পেশা তা তুলে ধরতে হবে।’ এ সময় তিনি অতিরিক্ত এজেন্ট কমিশনসহ বীমা খাতের সব অনৈতিক প্রতিযোগিতা বন্ধের আহ্বান জানান।

বিজ্ঞাপন

আইডিআরএ-এর সদস্য গকুল চাঁদ দাস বলেন, ‘কমিশন নিয়ে সমস্যা সমাধান না করলে নতুন করে বাজার সৃষ্টি করে কোনো লাভ হবে না। এটা লাইফ আর নন-লাইফ হোক। এজেন্টদের কমিশন দেওয়ার যে অনৈতিক প্রতিযোগিতা বন্ধ করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘বেশি কমিশন দিয়ে ব্যবসা করা কতটা নৈতিক সেটা ভাবতে হবে। বেশি কমিশন দিয়ে কোম্পানি নিজেই যদি ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যায়। তাহলে বীমা দাবি কীভাবে পরিশোধ করবে? তাই বীমা খাতের অনৈতিক প্রতিযোগিতা বন্ধ করতে হবে।’

মেঘনা লাইফের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘লাইফ ইন্স্যুরেন্সগুলোকে দেখার কেউ নেই। বীমা কোম্পানিতে নিয়মিত অডিট হচ্ছে না। আইডিআরএকে অন্তত ২ বছর পরপর অডিট করতে হবে। পাশাপাশি বীমা কোম্পানির এমডিকে গ্রাহকদের টাকা সঠিকভাবে দেখভালের জন্য আইডিআরএকে তদারকি করতে হবে। পলিসিহোল্ডার এবং শেয়ার হোল্ডাদের টাকা আলাদা করতে হবে।’

বিএম ইউসুফ আলী বলেন, ‘বীমা কোম্পানির এমডি নিয়োগে সর্বনিম্ন বয়স ৪০। এটা আরও কমানোর পাশাপাশি বীমা সম্পর্কে প্রচারণা বৃদ্ধি করা দরকার।’

বিজ্ঞাপন

নাসির উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘বীমার খাতের এজেন্ট কমিশন যথাযথভাবে মানা হলে এই খাতে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।’

গোলটেবিল বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন, অর্থমন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মানিক চন্দ্র দে, সাধারণ বীমা করপোরেশনের (এসবিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম, আইডিআরএ-এর বোরহান উদ্দীন আহমেদ, জীবন বীমা কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ড. শেলীনা আফরোজা প্রমুখ।

সারাবাংলা/জিএস/আইজেকে

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন