বিজ্ঞাপন

পদত্যাগ করায় ডিজি হেলথকে ধন্যবাদ তথ্যমন্ত্রীর

July 22, 2020 | 5:39 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোয় অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। এর ফলে স্বাস্থ্য অধিদফতরকে ঢেলে সাজানোর সুযোগ তৈরি হয়েছেও বলেও মনে করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২২ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এমন অভিমত জানান।

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমি স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে পদত্যাগ করায় ধন্যবাদ জানাই। কারণ স্বাস্থ্য অধিদফতর নিয়ে জনমনে অনেক অসন্তুষ্টি তৈরি হয়েছিল। বিশেষ করে স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্তাব্যক্তিদের নিয়ে অসন্তুষ্টি ছিল। সেই প্রেক্ষাপটে আমি মনে করি, তার পদত্যাগ স্বাস্থ্য অধিদফতরকে ঢেলে সাজানোর ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।’

বন্যা নিয়ে বিএনপি নেতাদের মন্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ড. হাছান মাহমুদ পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, ‘বন্যার পানি কি বাংলাদেশে এই প্রথম এলো? দেশে তো প্রতিবছরই বন্যা হয়। ঢাকা শহরেও প্রতিবছর পানি ওঠে। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন বুঝি বন্যা হয় নাই?’

বিজ্ঞাপন

মন্ত্রী এসময় ১৯৯১ সালের প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও ২০০৪ সালের প্রবল বন্যার কথা উল্লেখ করেন। বলেন, ‘২০০৪ সালের বন্যায় বিএনপির অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানসহ বহু মন্ত্রী-নেতার বাড়ির চারপাশে নোংরা পানি ছিল। তারা গুলশান লেক সংস্কার করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন বলেই তা ঘটেছিল।’ অবান্তর কথা না বলে বিএনপি নেতারা বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ালে বরং জনগণ উপকৃত হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

নামসর্বস্ব পত্রিকা ও সাংবাদিক নামধারীদের বিরুদ্ধে সরকার কোনো ব্যবস্থা নেবে কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, কিছু সাংবাদিক পরিচয়ধারী, যারা আসলে সাংবাদিক নয়, তাদের কারণে পুরো সাংবাদিক সমাজের বদনাম হতে পারে না। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ নিয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি, যেখানে সাংবাদিক ভাইদের, সাংবাদিক ইউনিয়নগুলোর এবং সাংবাদিকদের অন্যান্য সংগঠনগুলোসহ সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। যেহেতু এই অব্যবস্থা একদিনে হয়নি, দশকের পর দশক হয়ে আসছে, এটি ঠিক করতেও কিছুটা সময় লাগবে।

এর আগে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশের (অ্যামচ্যাম) পক্ষ থেকে ‘অ্যামচ্যাম কোভিড-১৯ ফ্রন্টলাইন অ্যাওয়ার্ড’ প্রদানের ঘোষণাদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত হন। মন্ত্রী তাদের এ উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, করোনা মহামারির মধ্যেও যেসব সাংবাদিক, ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, মাঠ প্রশাসন সদস্যসহ যারা জীবনে হাতে নিয়ে কাজ করে চলেছেন এবং যারা এই সেবা দিতে গিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন, তাদের পুরস্কৃত করার এই উদ্যোগকে আমি অভিনন্দন জানাই।

বিজ্ঞাপন

মন্ত্রী তার বক্তৃতায় ভবিষ্যতে মহামারি মোকাবিলায় যেন মানুষ এবারের মতো অসহায় হয়ে না পড়ে, সেজন্য প্রস্তুতির ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, আমাদেরকে বৈশ্বিকভাবে ভাবতে হবে এবং সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে যেন আমাদের উদ্যোগ, গবেষণা ও মনোনিবেশের অভাবে আরও কোনো মারাত্মক মহামারি মোকাবিলায় আমরা অসহায় না হয়ে পড়ি।

অ্যামচ্যাম প্রেসিডেন্ট সৈয়দ এরশাদ আহমেদের সভাপতিত্বে ভিডিও কনফারেন্সে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের উপপ্রধান জো-অ্যান ওয়াগনার, অ্যামচ্যামের ভাইস প্রেডিসেন্ট সৈয়দ মো. কামাল ও আমন্ত্রিত অতিথিরা অনলাইনে যুক্ত হন।

সারাবাংলা/জেআর/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন