বিজ্ঞাপন

‘৭৫-পরবর্তী বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাতে চেয়েছিলেন জিয়া’

August 15, 2020 | 9:00 am

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে নৃশংস ইতিহাস লেখা হয়েছিল ১৫ আগস্ট। ঘাতকদের হাতে নিহত হয়েছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের প্রায় সকল সদস্য, আত্মীয় এবং বাসার কর্মচারী ও নিরাপত্তাকর্মীরা।

বিজ্ঞাপন

৭৫-পরবর্তী বাংলাদেশের কথা তুলে ধরতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ শুক্রবার (১৫ আগস্ট) আয়োজন করেছিলো ‘৭৫-পরবর্তী বাংলাদেশ ও কিছু অজানা কথা’ শীর্ষক একটি ওয়েবিনারের।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমরা প্রতিবছর এই দিনটি শ্রদ্ধা ভালোবাসায় পালন করতাম। যেভাবে আমরা দিনটি পালন করতাম এবার কোভিড ১৯ এর সময়ে তা হচ্ছে না। কিন্তু যার জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। জাতির পিতা ১২ টি বছর কারাগারের অন্ধকারের প্রকোষ্ঠে কাটিয়েছেন। তার ত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীন বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনার হাতে ঐক্যের প্রতীক হিসেবে আওয়ামী লীগের পতাকা উঠেছে। দীর্ঘ ২১ বছর পরে সেই পতাকা ক্ষমতায় আসলো। এরপর ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করে জাতির পিতা হত্যাকাণ্ডের বিচার কাজ শুরু করা হয়।

বিজ্ঞাপন

তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা দিয়েছেন। এরপর তার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে সততার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন তার কন্যা শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেন, ছয় দফাকে আমরা সমর্থন দিয়েছিলাম। এরপরে বঙ্গবন্ধু যখন স্বাধীনতার ডাক দিলেন তখন আমরা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়লাম। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু রাতের আলোতে রাজনীতি করতেন না, যা করতেন দিনের আলোতে করতেন এবং মানুষকে সঙ্গে নিয়ে করতেন। এক দুজন মানুষ না, তিনি লক্ষ লক্ষ মানুষ নিয়ে রাজনীতি করতেন।

ভিডিও বার্তায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, সবাইকে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে হবে এবং তার আদর্শে দেশ গড়ার মহান ব্রতে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন করতে হবে। কোনো ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর স্বার্থ সিদ্ধির জন্য যেন জাতীয় শোক দিবসের পরিবেশ বিনষ্ট না হয় এবং আওয়ামী লীগের চিরায়ত ঐতিহ্য ও মূল্যবোধ যাতে ক্ষুণ্ন না হয় সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর পটভূমিতে দাঁড়িয়ে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ঘোষিত কর্মসূচি স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে পালনের জন্য দেশবাসীকে আহ্বান জানান সেতুমন্ত্রী। একইসঙ্গে দেশের সব প্রগতিশীল রাজনৈতিক ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রতিও জাতীয় শোক দিবস পালনের আহ্বান জানান তিনি।

নূহ-উল-আলম লেনিন বঙ্গবন্ধুকে ৫ বার হত্যাচেষ্টার ঘটনাগুলো উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলাসহ নানানভাবে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। এরপর পাকিস্তানি ২ জন নাগরিক দিয়েও হত্যাচেষ্টা চালানো হয়।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘আমি তখন বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তখন ঢাকায় আসি। আমরা শুনতে পেলাম এমন ভয়াবহতার কথা। আমাদের কাছে খবর এলো প্রতিবাদ নয় শুধু গ্রেফতার চলছে। কি ভয়াবহতা চোখের সামনে।’

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে যদি দেশে ফিরে না আসতেন তাহলে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতো না। তাহলে কোনদিন ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচার হতো না।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান বলেন, সেদিন জাতির জনকের হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে আমাদের চেতনাকে হত্যা করা হয়। পাকিস্তানি ভাবধারার রাজনীতির প্রচেষ্টা করা হয়েছিলো ৭৫ এর হত্যাকান্ডের মধ্য দিয়ে।

শিক্ষামন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মণি এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধু পরিবার হত্যাকাণ্ডের পর পুরো জাতিকে পাকিস্তানি ভাবধারায় রাজনীতির চেষ্টায় লিপ্ত ছিলেন জিয়াউর রহমান। তিনি হত্যাকাণ্ডের বিচারকার্য বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তিনি বেতার বাংলাকে পাকিস্তানের আদলে রেডিও বাংলাদেশ করলেন। সর্বোপরি ৭৫ পরবর্তী বাংলাদেশ ছিল অন্ধকার, যা পুরোটা পাকিস্তানের আদলে সাজাতে চেয়েছেন জিয়া।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সিনিয়র সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচারিত হয় এই অনুষ্ঠান। এছাড়াও সম্প্রচারিত হয় বিজয় টিভি, বিডিনিউজ২৪, বাংলানিউজ২৪, বার্তা২৪, সমকাল, যুগান্তর, ইত্তেফাক, সারাবাংলা, ভোরের কাগজ, জাগোনিউজ২৪ ও বাংলাদেশ জার্নালের ফেসবুক পাতায়।

সারাবাংলা/টিসি

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন