বিজ্ঞাপন

নারী চিকিৎসককে দলবদ্ধ ধর্ষণ: ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

September 2, 2020 | 4:56 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

রাজবাড়ী: রাজবাড়ীতে নারী চিকিৎসক দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলার রায়ে তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের এক লাখ টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে। বুধবার (০২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজবাড়ীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক শারমিন নিগার এ রায় ঘোষণা করেন। এ ছাড়াও অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তিন জনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

দণ্ডিতরা হলেন— রাজবাড়ী সদর উপজেলার বসন্তপুর ইউনিয়নের মজলিশপুর গ্রামের মৃত আবুল মোল্লার ছেলে রানা মোল্লা (২৭), একই গ্রামের মৃত মুন্নাফ সরদারের ছেলে হান্নান সরদার (৩২) ও খানখানাপুর ইউনিয়নের দত্তপাড়া গ্রামের আরশাদ মোল্লার ছেলে মামুন মোল্লা (২২)। রায় ঘোষণার সময় তিন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে ওই নারী চিকিৎসক ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জ যাওয়ার উদ্দেশ্যে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ মোড় এলাকায় এসে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় রানা, হান্নান ও মামুন তাকে গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে ব্যাটারীচালিত অটোরিকশায় উঠিয়ে বসন্তপুর ইউনিয়নের মজলিশপুর নিহাজ জুট মিল এলাকায় নিয়ে যায় এবং ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।

রাতে ওই নারী স্থানীয় একটি বাড়িতে আশ্রয় নেন। পরদিন ২৪ ফেব্রুয়ারি সকাল ৭টার দিকে তিনি র‌্যাব-৮ ফরিদপুর ক্যাম্পে গিয়ে কোম্পানি অধিনায়কের কাছে মৌখিক অভিযোগ করেন। তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওইদিন সকাল ১০টার দিকে বসন্তপুর স্টেশন বাজার থেকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় রানা, হান্নান ও মামুনকে গ্রেফতার করে রাজবাড়ী সদর থানায় হস্তান্তর করে র‌্যাব। ২৫ ফেব্রুয়ারি ওই নারী রানা, হান্নান ও মামুনের নাম উল্লেখ করে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী ২০০৩) এর ৯ (৩) ধারায় রাজবাড়ী সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে তিনি দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় রানা, হান্নান ও মামুন ছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরও তিনজনের সম্পৃক্ত থাকার কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা খানখানাপুর পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মো. শহীদুল ইসলাম ১৭মে রানা, হান্নান ও মামুনসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বাদীসহ ১০ জনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে রানা, হান্নান ও মামুনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বাকি তিনজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের মামলা পরিচালনা করেন রাজবাড়ী জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট উজির আলী শেখ। আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট কে.এ বারী, মোস্তফা কবির ও মাসুদুল আলম।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/টিসি

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন