বিজ্ঞাপন

‘ইসরায়েলের স্বীকৃতিতে সৌদি আরব ও আমিরাত আমাদের চাপ দিতে পারে’

September 17, 2020 | 10:11 am

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: মুসলিম দেশগুলো তথা রাজতন্ত্র যারা করছে তারা কিন্তু ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিচ্ছে। এমনকি বাংলাদেশের ওপরও সামনে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিতে সৌদি আরব ও আরব আমিরাত চাপ দিতে পারে। করোনাকালে যে যার যার মতো করে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছে।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ‘সারাবাংলা ফোকাস: সময়টা কেমন’ অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে ছিলেন- সাবেক আইজিপি নুরুল আনোয়ার, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মিজানুর রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ফারুক ও সিনিয়র সাংবাদিক অজয় দাস গুপ্ত। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সারাবাংলা.নেটের স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট এমএকে জিলানী।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মিজানুর রহমান বলেন, ‘বিশ্বে বিভিন্ন ধরনের উত্তেজনা চলছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় উত্তেজনা হচ্ছে চীন ও আমেরিকার মধ্যে বাণিজ্য। আমেরিকার অনেক কাস্টমার কম দামে ভালো জিনিস পাচ্ছে না। ইতোমধ্যে কম রেটের ৩০ শতাংশ অর্ডার ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশ পেয়েছে। এছাড়া পিপিই ও মেডিসিন তৈরিতে আমরা প্রতিযোগী দেশ হিসেবে রয়েছি। ১৯৭১ সালে পুরো ওআইসি আমাদের বিপক্ষে ছিল। আমরা যখন ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধা করছিলাম তথা ১৯৭১ সালের ২ জুলাই তখন ইসরায়েলী পালা‍র্মেন্টে পাকিস্তানের নিন্দা করে প্রস্তাব পাস করা হয়। আমাদের জন্য ইসরায়েল সাহায্যও পাঠায়। ইসরায়েল ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসেই আমাদের স্বীকৃতি দেয়। কিন্তু সৌদি আরব বঙ্গবন্ধু মারা যাওয়ার পরে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। সেটা ১৯৭৫ সালের ১৬ আগস্ট। তথা বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু ও দাফন নিশ্চিত হয়ে আমাদের স্বীকৃতি দেয়। এর মধ্যে রাজনীতি অবশ্যই আছে। এক পর্যায় হয়তো বাংলাদেশকেও বলবে স্বীকৃতি দিতে।’

তিনি বলেন, ‘এখন ইসরায়েল ও বাহরাইনের সঙ্গে আরও যে দুয়েকটা দেশের যে ঘটনা ঘটছে সেটা আমেরিকার নিবা‍র্চনি কাজে ট্রাম্প ব্যবহার করে সুবিধা নেবে।’

বিজ্ঞাপন

সাবেক আইজিপি নুরুল আনোয়ার বলেন, মুসলিম দেশগুলো তথা রাজতন্ত্র যারা করছে তারা কিন্তু ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিচ্ছে। এমনকি বাংলাদেশের ওপরও সামনে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিতে সৌদি আরব ও আরব আমিরাত চাপ দিতে পারে। করোনাকালে যে যার যার মতো করে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছে। ভারত ও চীনের মধ্যে বৈরি অবস্থা। সবাই সবার সঙ্গে খেলছে। এরা সবাই নিজেদের স্বার্থ তথা বাণিজ্য নিয়ে ব্যস্ত। করোনা সেরে যাবে তবে বাণিজ্য চলবে।’

তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী এমন একটা দুযো‍র্গ আসবে সেটা বোধ হয় আর কেউ ভাবেনি। তবে এই মুহূর্তে আমরা কোথায় কোন অবস্থায় আছি সেটা পরিষ্কার করে বলা যাবে না। বিশ্বে বড় বড় সংঘাত হচ্ছে। আমাদের প্রতিবেশি ভারত ও চীন সংঘাতময় অবস্থার মুখোমুখি হয়ে আছে। যুদ্ধ যুদ্ধ খেলবে তবে শেষে যুদ্ধ হবে না। তবে যুদ্ধ শেষ না হলে যে পরিমাণে ক্ষতি হবে সেটাও অনেক। আর ভূ-মধ্যসাগরে দেখেন, কিছুদিন আগে তুরস্কের সঙ্গে লিবিয়ার চুক্তি হলো। এরপর তারা সমুদ্র সম্পদ খুঁজতে শুরু করল। তার প্রতিক্রিয়া হলো উন্নত দেশগুলো একত্রিত হয়ে গ্রিসের সঙ্গে ফ্রান্স পরে ইইউ আর আমেরিকাও কথা বললো উল্টাপাল্টা। ফলে যেকোনো সময় বিশ্বে আরেকটি ধ্বংস আসতে পারে। এখনও সংঘাত থেকে আমরা পেছনে আসিনি।

বিএনপি চেয়ারপারসের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুক বলেন, ‘ইসরায়েল ইস্যুতে দেশের মানুষ যা চায়, তথা জনগণ যা চায় সেটা করা উচিত।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসজে/পিটিএম

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন