বিজ্ঞাপন

রেজাউলকে নিয়ে ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডে যাচ্ছেন মাহতাব-নাছির

October 1, 2020 | 9:37 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম রেজাউল করিমকে নিয়ে ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডে সাংগঠনিক সভা শুরু করেছেন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। স্থগিত হওয়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ছিলেন রেজাউল। নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে তাকেই মেয়র প্রার্থী ধরে নিয়ে সভা-সমাবেশে সরব হয়েছেন মাহতাব-নাছির।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) বিকেলে প্রথম দিনে নগরীর দক্ষিণ পাহাড়তলী সাংগঠনিক ওয়ার্ডে তিনটি পৃথক ইউনিটের সভা হয়েছে। সভায় নেতাদের আলোচনায় সর্বাগ্রে ছিল মেয়র নির্বাচনে রেজাউলের বিজয় নিশ্চিতের বিষয়টি।

নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘দলের মধ্যে এখন অনেক নেতাকর্মীর ভিড়। যোগ্য, পরীক্ষিত ও ত্যাগীদের খুঁজে বের করতে না পারলে নেতৃত্বের সংকট কখনো দূর হবে না। মনে রাখতে হবে, কারো প্রশ্রয়ে-আশ্রয়ে কোনো সুবিধাভোগী যেন নেতৃত্বে আসতে না পারে।’

সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘চসিক নির্বাচনে মেয়র পদে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিজয় সুনিশ্চিত করতে হবে। এজন্য দলকে শক্তিশালী করতে হবে। ওয়ার্ড ও থানা পর্যায়ে যেসব শূন্য পদ আছে, সেগুলো পূরণ করা হবে। তবে এই মুহূর্তে কমিটি গঠন করা হবে না। এটা করতে গেলে বিভাজন, বিভেদ, কোন্দল সৃষ্টি হতে পারে। কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী সুবিধাবাদী হাইব্রিডদের রুখতে হবে। আমি বারবার বলছি, নেতিবাচক প্রতিযোগিতা অমঙ্গল বয়ে আনবে।’

বিজ্ঞাপন

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ। তবে ওপরের স্তরে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা আছে। কিন্তু তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্যে কোনো বিভেদ ও বিরোধ নেই। তারা চায় মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক ভিত্তি সুদৃঢ় হোক। তৃণমূল স্তরের নেতাকর্মীরাই চসিক নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের বিজয় সুনিশ্চিত করবে।’

দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আওতাধীন এ-ইউনিটের সভাপতি রাজীব রক্ষিত, বি-ইউনিটের সভাপতি মোহাম্মদ আবু তাহের, সি-ইউনিটের সভাপতি মহসিন চৌধুরী পৃথক তিনটি সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভাগুলোতে আরও বক্তব্য রাখেন নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান ও চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরী, কার্যনির্বাহী সদস্য গাজী শফিউল আজিম, জাফর আলম চৌধুরী, হাজী বেলাল আহমেদ।

গত ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতিতে সেটি স্থগিত করা হয়। এর মধ্যে চসিকের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের নেতৃত্বাধীন নির্বাচিত পরিষদের মেয়াদ শেষ হয় গত ৫ আগস্ট। এর আগেই খোরশেদ আলম সুজনকে চসিকের প্রশাসক পদে মনোনীত করে সরকার। ৬ আগস্ট সুজন দায়িত্ব নেন।

বিজ্ঞাপন

স্থগিত চসিক নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী স্থানীয় সাংসদ ও শিক্ষা ‍উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের সমর্থনপুষ্ট নেতা হিসেবে পরিচিত। আবার নগর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে নওফেল বলয়ের অবস্থান নাছিরের বিরুদ্ধে। কিন্তু এখন রেজাউলকে পাশে নিয়েছেন মাহতাব-নাছির।

চসিক নির্বাচনে সুজনও মনোনয়ন চেয়েছিলেন। বঞ্চিত সুজনকে পরে প্রশাসক করা হয়েছে। সুজনের দায়িত্ব নেওয়ার একমাসের মধ্যেই নানা মেরুকরণ শুরু হয়েছে নগর আওয়ামী লীগে।

সারাবাংলা/আরডি/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন