বিজ্ঞাপন

শেখ রাসেলের জন্মদিনকে জাতীয় দিবস ঘোষণার দাবি পলকের

October 18, 2020 | 9:16 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেলের জন্মদিনকে জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, সোনার বাংলা গড়ে তোলার জন্য প্রতিটি শিশুকে সুনাগরিক হয়ে গড়ে উঠতে হবে। শহীদ শেখ রাসেল আর্ত-মানবতার সেবায় দুঃখী মানুষের জন্য যেভাবে তার বন্ধুদের সঙ্গে নিজের খাবার ভাগ করতো আগামী দিনের শিশুরাও তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বঙ্গবন্ধু আদর্শের সৈনিক হয়ে সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১৮ অক্টোবর) আইসিটি টাওয়ারে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ আয়োজিত ‘শেখ রাসেল দিবস-২০২০’ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘আমাদের মেধাবী শিশুরা উন্নত বাংলাদেশ গড়তে পারবে। ভবিষ্যতে জ্ঞানভিত্তিক, প্রযুক্তিনির্ভর উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রাথমিক স্তর থেকেই শিশুদের কম্পিউটারের ভাষা, প্রোগ্রামিং ও কোডিং শিক্ষা দিতে হবে। যাতে মাধ্যমিক স্তরে এসেই নিজেদের প্রোগ্রামার হিসেবে তৈরি করতে পারে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিটি শিশুর জীবন যেন অর্থবহ হয় তা নিশ্চিত করাই বর্তমান সরকারের একমাত্র লক্ষ্য। অথচ ১৫ আগস্ট পরবর্তী সরকার শেখ রাসেলসহ খুনিদের বিচার না করে বরং আইন করে বিচারের পথ রুদ্ধ করেছে। সে সময় রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে খুনিদের পুরস্কৃত করা হয়েছে। তারা শিশু–নারী হত্যাসহ খুন এবং নির্যাতনকে উৎসাহিত করতো। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাবা, মা-ভাইয়ের খুনিদের বিচার পর্যন্ত চাইতে পারেনি, এমনকি একটি মামলাও করতে দেওয়া হয়নি সে সময়। ১৫ অগাস্টের হত্যাকাণ্ডে নারী-শিশুসহ জাতির পিতা এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিচার হলে সমাজে শিশু-কিশোর, নারী হত্যা অনেকাংশে কমে যেত।’

বিজ্ঞাপন

বিএনপির পৃষ্ঠপোষকতায় দেশে হত্যাকাণ্ড ও বিচারহীনতার সংস্কৃতি প্রথম চালু হয় উল্লেখ করে পলক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর এ দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি বন্ধ করে বিচারের সংস্কৃতি চালু করেছেন। এখন কোনো অপরাধী অপরাধ করে রেহাই পায় না।’

তিনি বলেন, ‘শিশুরা প্রযুক্তিগত শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ভবিষ্যৎ পৃথিবীর জন্য তৈরি হতে পারে সে লক্ষ্য কে সামনে রেখে বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরিকল্পনায় আইসিটি বিভাগ সারা দেশে আট হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব প্রতিষ্ঠা করেছে। দেশে আরও পাঁচ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করা হচ্ছে।’

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থ প্রতিম দেব, বাংলাদেশে হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদফতরের মহাপরিচালক এ বি এম আরশাদ হোসেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ইএইচটি/পিটিএম

Tags: , , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন